সম্প্রতি চর্চায় উঠে এসেছেন বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুডা। প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন তিনি।
ওমাঙ্গ কুমার পরিচালিত ‘সর্বজিৎ’ ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল। লাহোরের জেলে সর্বজিতের মৃত্যুর তিন বছর পর মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। ১৯৯১ সালে গুপ্তচর তকমা দিয়ে ভারতীয় নাগরিক সর্বজিৎ-কে গ্রেফতার করে পাক পুলিস। সর্বজিতের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়েও লড়াই করে ভারত সরকার। ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন দিদি দলবীর কৌর। ২০০৮ সালে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বজিতের প্রাণদণ্ড মুলতুবি রাখে পাক সরকার। তবে ২০১৩ সালে জেলেবন্দি থাকা অবস্থাতেই অপর জেলবন্দির আক্রমণে মৃত্যু হয় সর্বজিৎ-এর।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সর্বজিৎ’ ছবিতে দলবীর কৌরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। এবং সর্বজিৎ-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রণদীপ হুডা। ছবির প্রি-প্রোডাকশনের সময় থেকেই দলবীর কৌরের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পর্দার সর্বজিৎ-এর। অভিনেতার মধ্যে নিজের ভাইকে খুঁজে পেয়েছিলেন দলবীর। অনুরোধ করেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর রণদীপ যেন অতি অবশ্যই দলবীরকে কাঁধ দেন।
সেই অনুরোধ রাখতেই দলবীর কৌরের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্র মুম্বই থেকে অমৃতসরের ভিওয়ান্ডিতে ছুটে যান রণদীপ। শনিবার ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দলবীর কৌরের। সব রীতি মেনে রবিবার দলবীর কৌরের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন রণদীপ।