তিনি এখন বাংলার দিদি নম্বর ওয়ান। অভিনয় থেকে টেলিভিশনের জগতে এসে করেছেন বাজিমাত। সঞ্চালকের দায়িত্ব সামলে বাংলার নামী এক চ্যানেলের রিয়েলিটি শো-কে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনিই। এক্কেবারে ঠিক ধরেছেন, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই বলা হচ্ছে।
বাংলা ছবি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও, একটা সময় অভিনয়ের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন অন্য রাজ্যে। সেই সময় দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি হিন্দিতেও কাজ করেছেন। এমনকী ওড়িয়া ছবির জগতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকর্ষণ এক আলাদা মাত্রা পেয়েছিল একটা সময়। সেই ক্যারিশ্মা এত বছর পরেও টলেনি এতটুকুও। এর পাশাপাশি টলিউডেও চুটিয়ে কাজ করে নিজের জায়গা পাকা করে নেন তিনি।
কেরিয়ার চকচকে হলেও, ব্যক্তিগত জীবন বেজায় টলমল থেকেছে সব সময়। দু'বারের বৈবাহিক জীবন সুখকর হয়নি। তবে নিজের শর্তেই জীবনকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী। ছেলেকে নিয়ে এখন তাঁর সংসার। কিছুদিন আগে ছেলেকে নিয়ে এক নামী রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন, সেই ছবিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করেছিলেন রচনা। ভালো থাকার সমস্ত রসদ আশপাশে মজুত রয়েছে। তা শুধু নিজেকে খুঁজে নিতে হবে-এই দর্শনই রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চ থেকে বিভিন্ন দিদিকে বারংবার জানিয়েছেন তিনি। আর সেইমতো তিনিও যে চলার চেষ্টা করেন, তা তাঁর ইনস্টা পোস্টে নজর করলেই বুঝতে পারা যায়।
২৫ বৈশাখের সকাল থেকেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আকাশটা নিকষ কালো করে বৃষ্টি নেমেছে শহরজুড়ে। বড্ড দাবদাহের পর শীতল বারিধারার ছোঁয়ায় ধুলোটে ভাব সরিয়ে, ঝকঝকে চারপাশ। আর সেই বৃষ্টিভেজা দুপুরেই নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ার করলেন রচনা। শেয়ার করলেন নিজের ভালোবাসার কথা। তবে এ ভালোবাসা কোনও মানুষের জন্য নয়। অভিনেত্রীর ভালোবাসা প্রকৃতিকে ঘিরে। নিজের এলাহি ফ্ল্যাটকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন রচনা। যার ব্যালকনিতে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ছোট ছোট গাছ। বড্ড যত্ন নিয়ে সেই গাছেদের পরিচর্যা করে বড় করে তুলছেন তিনি। আজ বৃষ্টি হওয়াতে তারাও বেজায় খুশি। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ''বৃষ্টি এবং ভালোবাসা আমার গাছেদের জন্য। এটা ভালোবাসি...''