Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: ভারতবর্ষের সিনেমার ইতিহাসে বাণিজ্যিক প্রশ্নে বহু রেকর্ড আছে। ৭০ দশকের গোড়ায় 'তালাশ' নামে একটি হিন্দি ছবিতে ১ কোটি টাকা ঢালা হয়। তখনকার দিনে এই খরচ অভূতপূর্ব। টাকা কোনওমতে প্রযোজক তুলেছিলেন বটে, কিন্তু লাভের মুখ দেখতে পারেনি। এরপর রাজ কাপুর, 'মেরে নাম জোকার' প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করে দেউলিয়া হয়ে যান। আজকের দিনে ওসব এক কোটি-দু'কোটিতে সম্ভবত বাংলা ছবিও হয় না। আজকের দিনে প্রযোজক কয়েকশো কোটি ঢালে সিনেমায়। এ বিষয়ে অগ্রগণ্য অবশ্য দক্ষিণ ভারতীয় ছবি। কিন্তু খুব পিছিয়ে নেই হিন্দি সিনেমাও। এখন নাকি অক্ষয় কুমার একটি ছবির জন্য দাবি করেন ১২০ কোটি টাকা! খুব পিছিয়ে নেই শাহরুখ খান। প্রায় ৫ বছর বাদে তাঁর নতুন ছবি 'পাঠান' রিলিজ করতে চলেছে আগামী সপ্তাহে। টিকিট বিক্রির ট্রেন্ডে পরিষ্কার ছবির বাণিজ্যে নাকি লক্ষ্মী বসতে চলেছে।
১৯৭৫-এ হিন্দি ছবির বক্স অফিসে বিপ্লব এনে 'শোলে' রিলিজ করেছিল। প্রায় ৪ ঘন্টার ছবি। সেই সময় সারা ভারতে ৫ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি হতো এবং ৩টি শো মিলিয়ে প্রেক্ষাগৃহে 'হাউস ফুল' বোর্ড ঝুলতো। এরপর এরকম রেকর্ড ব্রেকিং ওপেনিং করেছে দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙে বা ডিডিএলজি।
কিন্তু সেসব ছবির টিকিট বিক্রি আজ পাঠানের কাছে ক্ষুদ্র মাত্র। এই মুহূর্তে খবর ৩টি ভাষায় রিলিজ করছে পাঠান। হিন্দি, তামিল ও তেলেগুতে এবং সারা বিশ্বে সাব টাইটেল করে রিলিজ করছে একইসঙ্গে। বিদেশে বিক্রি সব থেকে বেশি নাকি ব্রিটেন এবং জার্মানিতে। ইতিমধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সে মূলত সিঙ্গল স্ক্রিনে ইতিমধ্যে ৯০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। সর্বোচ্চ মূল্য শোনা যাচ্ছে ২ হাজার টাকারও বেশি। প্রথম দিনের শোতে যশরাজ ফিল্মসের ঘরে আসতে পারে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ জানান, 'পাঠান' এক বাণিজ্যিক বিপ্লব নিয়ে আসছে ভারতের বাজারে।
প্রথম সপ্তাহে বক্স অফিসে ঢুকতে পারে ৩০০ কোটি টাকার বেশি। শাহরুখ কিন্তু চুপচাপ। কী হবে বা হতে পারে, তা নিয়ে রা কাটছেন না। যদি সত্যি এ ঘটনা ঘটে, তবে ভারতীয় সিনেমায় এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটতে চলেছে। যদিও দর্শকদের আগাম একটিই আফসোস যে 'বেশরম রং' গানটি সেন্সর কোপে ছবিতে দেখা যাবে না।