Share this link via
Or copy link
ঢালাও বিজ্ঞাপন, চ্যানেলে চ্যানেলে অথবা খবরের কাগজে প্রচার করে মিঠুন চক্রবর্তী ও দেবের প্রজাপতি মানুষের সামনে রঙিন পর্দায়। মূলত বাপ-ছেলের গল্প। যদিও বাবা মিঠুনের প্রাক্তনী মমতাশঙ্করও রয়েছেন। একটা সময়ে মিঠুন নায়ক হিসাবে প্রথম নায়িকা পেয়েছিলেন 'শঙ্কর পরিবারের অন্যতম প্রতিভা মমতাশঙ্করকে। দু'জনেরই প্রথম দেখা, এই ছবি রিলিজ করার আগে এমনও খবর হয়েছিল যে, মৃণাল সেনের মৃগয়ার পর নাকি রটেছিল যে মমতাশঙ্করের সঙ্গে প্রেম রয়েছে মিঠুনের। হঠাৎ এমন প্রসঙ্গ কি এই ছবিকে তুলে ধারা জন্য?
জানা নেই, তবে আজকাল কোটি কোটি টাকার হিন্দি-বাংলা ইত্যাদি ছবি রিলিজের আগে ছবির প্রধান চরিত্ররা প্রচারের আলোয় এসে নানান কাণ্ড করেন। আমির খান তাঁর একটি ছবি রিলিজের আগে কলকাতা এসে সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে চমকদারী ডিনার সারেন এবং সেটাই ছিল নাকি প্রচারের অঙ্গ। এই ছবির আগেও বিস্তর সেসব ঘটেছে।
ছবির মূল দায়িত্বে বাংলার নায়ক দেব। বাবা ও ছেলের দোস্তি বা একটু অন্য ধরনের বন্ধুত্ব ইত্যাদি রয়েছে। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, এক সময়ের ডিস্কো ডান্সার করে হিট নায়ক মিঠুন কিন্তু বলিউডে কামাল করেছিলেন। একই সঙ্গে অন্য ধরনের ছবি করে তিন বার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু আজকের সলমন বা রণবীরদের যুগে ছবি থেকে অনেকটাই দূরে মিঠুন।
স্বাভাবিক তাঁর বয়স হয়েছে মধ্য ৭০, এই সময়ে প্রবীণ চরিত্র ছাড়া আর কী বা করার আছে? অমিতাভ বচ্চনের কথা বাদ দিলে আর কোনও নায়ক এই বয়সে মূল চরিত্র পেয়েছেন কি? এ রাজ্যে অবশ্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন কিন্তু বাকিরা।
বাবা ছেলের গল্প নিয়ে কয়েক ডজন নানান ভাষায় ছবি হয়েছে, নতুন কিছু না। সপ্তপদী থেকে পিতাপুত্র ইত্যাদি। এই ছবি কিন্তু একটু আলাদা বাবা-ছেলের বন্ধুত্ব অনেকটা সমবয়সী বলে অদ্ভুত লেগেছে যা বাঙালির জীবনে দেখে অভ্যস্ত নয়। যদিও এই ছবির অনেকটাই হিন্দি ছবি 'মেরে বাপ পহেলা আপ'এর মতো মনে হয়েছে। রাজনীতির দুই প্রান্তে থাকা মিঠুন ও দেবের অভিনয়ে মন্দ নয় কিন্তু নজর করেছেন মমতাশঙ্কর। যদিও শেষ পর্যন্ত এই প্রজাপতি উড়ে গেছে পড়ে রয়েছে পুরাতন স্মৃতি মাত্র। হৈচৈ- এর মাঝে মন ভরলো না।