একলাই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রেখে গেলেন অগণিত গুণমুগ্ধ শ্রোতা। দশ দিনের লড়াইয়ের পর প্রয়াত ৮২ বছরের সঙ্গীতশিল্পী ভূপিন্দর সিংহ। তাঁর কণ্ঠের মায়াবী জাদুতে মজেছে সঙ্গীতপ্রেমীরা। আজ শোকস্তব্ধ শিল্পীমহল।
বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীর প্রয়াণে ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইটারে লিখেছেন যে, "শ্রী ভূপিন্দর সিং জির প্রয়াণে শোকাহত, যিনি কয়েক দশক ধরে স্মরণীয় গান দিয়েছেন। তাঁর কাজগুলি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে জুড়েছে। এই দুঃখের সময়ে, আমার চিন্তাভাবনা তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের সাথে। ওম শান্তি ।"
বাবার কাছেই গানে তালিম নিতে শুরু করেন তিনি। এরপর অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যোগ দেন ভূপিন্দর সিং। পরে দূরদর্শনের সঙ্গেও যুক্ত হন। স্ত্রী মিতালি সিং-ও সমান জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি গিটার এবং বেহালাও বাজাতেন। ১৯৬২ সালে, সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহন এআইআর প্রযোজক সতীশ ভাটিয়ার ডিনার পার্টিতে ভূপিন্দরকে গান গাইতে শোনেন। তারপর তিনি ভূপিন্দরকে মুম্বইতে ডেকে পাঠান এবং মহম্মদ রফি, তালাত মেহমুদ ও মান্না দে-র সঙ্গে 'হোকে মজবুর উসনে মুঝে বুলায় হোগা' গানটি গাওয়ার সুযোগ দেন। হকিকত সিনেমার এই গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
প্রয়াত ভূপিন্দর সিংয়ের পাঁচ দশকের দীর্ঘ কর্মজীবন। ১৯৪০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের অমৃতসরে তাঁর জন্ম। তিনি সেই সময়কার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী যেমন মহম্মদ রফি, আরডি বর্মন, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে এবং বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে কাজ করেছেন।
তাঁর বিখ্যাত গানগুলির মধ্যে রয়েছে, এক অকেলা ইস শহর মে, নাম গুম যায়েগা, দিল ঢুন্ডতা হ্যাঁয় ফির ওয়াহি ইত্যাদি। বাংলা গানেও সমান সাবলীল ছিলেন তিনি। ত্রয়ী ছবিতে ভূপিন্দরের গাওয়া, কবে যে কোথায় কী যে হল ভুল আজও সমান জনপ্রিয় । একেবারে অন্যরকম একটি কণ্ঠস্বর, গলায় এক অন্য মাদকতা। একের পর এক গান গেয়ে গেছেন তিনি। তাঁর গাওয়া গজলও সমান জনপ্রিয়, যা শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি গেয়ে গেছেন 'মেরি আওয়াজ হি পেহচান হ্যায়', তাই তাঁকে মানুষ হৃদয়ে খুঁজে নেবে।