Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: নিয়ম মাফিক কলকাতা বইমেলা আগামী সপ্তাহান্তে শুরু হতে চলেছে। বাম জমানায় কলকাতার ময়দানে বইমেলা হতো। পরে তৃণমূল আমলেও ব্যতিক্রম হয়নি। মাঝে বন্ধ ছিল করোনা আবহে। কিন্তু ফের পূর্ণোদ্যমে শুরু হবে। বিভিন্ন পূজাপার্বনের সাথে বাংলায় বইমেলাও একটি পার্বন নিশ্চিত। কিন্তু আজকের দিনে বই পড়ে কি কেউ? বই অবশ্যই পড়ে আজকালকার ছেলেমেয়েরা কিন্তু তা পাঠ্যপুস্তক। বইমেলা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকের বাইরেই থাকে। বিভিন্ন দেশের বই ভ্রমণ কাহিনী থেকে উপন্যাস। এমনকি অজানা বিষয়ের বই পাওয়া যায় বইমেলাতে।
আজকাল ইন্টারনেটের যুগ , কোনও বিষয়ে জ্ঞান দরকার হলে লোকে ইন্টারনেট থেকেই পেয়ে যায়।কয়েক বছর আগেও টেলিভিশন থেকে পত্রপত্রিকা পড়ার ঝোঁক আম জনগণের ছিল। কিন্তু আজকে সকালের খবরের কাগজ পর্যন্ত পড়তে চাই না কেউই। একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া মাত্র। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী থেকে আজকের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই পর্যন্ত বই মেলায় আছে, হয়তো কেনেও মানুষ কিন্তু ওই লোক দেখাবার জন্য বলেই দাবি আজকের লেখক সমাজের।
সাহিত্যচর্চার সাহিত্যিকরা একে একে চলে গিয়েছেন, রয়ে গিয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁরাও কি আশাবাদী? পাশাপাশি ওপর বাংলার ছবিটি কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যরকম। আজকেও বাংলাদেশে নিয়মিত লেখালিখি রয়েছে, পাঠক তো ঘরে ঘরে। সেখানে আজকেও সাহিত্য সভা হয়। আজকেও রবীন্দ্রনাথকে না জানাটা ওদেশে প্রায় অপরাধ। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় নিয়মিত। কাজেই বই পড়ার অভ্যাসটি থেকেই গিয়েছে। ওদেশেও বইমেলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বইমেলা হয় ঠিকই কিন্তু ওই মেলায় গানের জলসা বেশি আকর্ষিত করে। ও দেশে তা নয়।
আমাদের বাংলায় আজকাল যে সিনেমা হয় তার বেশিটি তাৎক্ষণিক গল্প নির্ভর, উপন্যাসধর্মী নয়। এটাও কিন্তু বইয়ের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ। অবশ্যই বইয়ের দাম আকাশচুম্বী কিনবে কজন ? তবুও আসছে বইমেলা।