কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে বলিউডের বিখ্যাত গায়ক KK প্রয়াত হয়েছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থতা তো ছিলই, ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে তেমনই রিপোর্ট। তার উপর অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় গলদের দিকটি নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই বিতর্ক আরও কয়েকগুণ বেড়েছে KK-কে নিয়ে রূপঙ্কর বাগচির তির্যক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। একজন শিল্পী আরও একজন শিল্পীকে নিয়ে এমন অসংবেদশীল মন্তব্য করেন কী করে, এ নিয়ে চাপানউতোর চরমে উঠেছিল।
কারও প্রতিভাকে এমনভাবে ছোট করা একজন শিল্পীর কাজ কখনও হতে পারে না। আবার অনেকেই রূপঙ্করের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, জাতীয় পুরস্কার পাওয়াটাই রূপঙ্করের জন্য কাল হয়েছে। আবার অনেকেই বলেছেন,''কবীর সুমন এমন সুন্দরভাবে গানটা তৈরি করেছিলেন যে, সেই গান রূপঙ্কর কেন, যে কোনও গাইয়ে গাইলেই তিনি জাতীয় পুরস্কার পেতেন।''
এবার কবীর সুমনের যে গানের জন্য রূপঙ্কর বাগচি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন, সেই গানের আদলেই KK-কে নিয়ে গান বাঁধলেন কবীর সুমন। ফেসবুকে তিনি লিখলেন-
''এ কেকে কেমন কেকে এই শহরে মরতে আসে
জেনে নাও কৃষ্ণকুমার এ-গান তোমায় ভালবাসে।
তোমাকে চিনতাম না জানতাম না তুমি এমন
আমার এই গানের সুরে হঠাৎ পাওয়া কান্না যেমন
শেষ গান গাইছ মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে তোমার পাশে
এসেছো আগেও তুমি হয়তো হয়ে ছদ্মবেশী
কোনও এক জন্মে তুমি ছিলে আমার প্রতিবেশী।
এ শহর তোমারও ঘর তোমার শহর তোমার মাটি
বাংলার লক্ষ ছেলেমেয়ের বুকে তোমার ঘাঁটি
ফিরবে তাদের কাছেই কলকাতাতেই ফিরে এসে।''
কবীর সুমন সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে একটি পোস্ট করে বুঝিয়ে দেন, কাকে সমর্থন করলেন, আর কাকে নয় সেটা বড় কথা নয়। বরং বোঝান শিল্পীর শিল্পসত্তা তুলনায় আসে না। অনেক অভিমান থেকে চাপা দুঃখ জন্ম নেয়, তার সঙ্গে হিংসা-বিদ্বেষ খাপ খায় না। শিল্পী তার শিল্পসত্তাতেই অমর। বারবার তাঁর প্রতিভা নিয়ে ফিরে আসতে পারে। সেখানে মান-অভিমান অতি তুচ্ছ ব্যাপার। সেই সঙ্গে তাঁর লেখায় KK-কে নিয়ে হাজারো মন খারাপ নেমে এল। এই পোস্ট ইতিমধ্যেই হু হু করে শেয়ার হয়ে চলেছে। কান্নায়, আবেগে ভাসছেন KK-র ভক্তরা।