২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Tollywood: বাংলা ছবি তার চরিত্র হারিয়েছে কি? জানুন বিশ্লেষণে
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-29 18:14:05   Share:   

প্রসূন গুপ্ত:  সম্প্রতি একটি বাংলা সিনেমা (Bengali Film) নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ছিল।  অবশ্য ছবির বিষয়ে আপত্তি নয় বরং বিজেপির মিঠুন ও তৃণমূলের দেবকে নিয়ে। জনমত বলে ওই ছবি প্রজাপতি (Prajapati) দেখে বেশ ভালোই লাগলো। একেবারেই পিতা-পুত্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মায়ের বিয়োগের পর পুত্র ব্যস্ত বাবার এক বান্ধবী জোগাড় করতে ইত্যাদি।

ইদানিং বাংলা ছবি এই সমস্ত বিষয় নিয়েই হচ্ছে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ছিল বাংলা ছবি স্বর্নযুগ। সত্যজিৎ রায় থেকে উত্তমকুমার (Satyajit Ray to Uttam Kumar)। ছবি হতো মূলত কোনও সাহিত্যিকের উপন্যাস থেকে যে কারণে ওই যুগে সিনেমাকে মানুষ 'বই' বলতো।

এরপর ৯০-এর দশকে ছবি পাল্টিয়ে গেলো। একেবারে ৯০ বললে ভুল হবে, উত্তমের মৃত্যুর পর থেকে বাংলা ছবি ধীরে ধীরে হিন্দির মতো নাচগান-সহ মারধর ইত্যাদিতে তৈরি হয়েছে। মধ্যে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এই ছবি যার নায়ক ছিলেন চিরঞ্জিত, প্রসেনজিৎ বা তাপস পালরা। উপন্যাস বিদায় নিলো।

গ্রামগঞ্জের মানুষ এই ছবিতেই অভ্যস্থ হয়ে পড়লো। এরপর এলো ফেলুদা বা ব্যোমকেশ নিয়ে ছবি। এই ছবিতে সাসপেন্স বা কিছু গুলিগোলার দৃশ্যও থাকতো। দর্শক এও গ্রহণ করেছিল শহর এবং গ্রামে। কিন্তু ধীরে ধীরে ছবি মার্ খেতে শুরু করলে কলকাতা-সহ দেশের সিনেমা হাউসগুলি উঠেই গেলো ধীরে ধীরে। হল না থাকার ফলে মফস্সল বা গ্রাম সিনেমা থেকে আলাদা হয়ে গেলো।

আজকের সিনেমা বাংলায় হলেও আমূল পরিবর্তিত হয়েছে। হিন্দি ছবিতে কে নায়ক কে ভিলেন সেসব পথ শেষ হয়েছে। এখন একেবারেই সেরা টেকনিক-সহ হলিউডধর্মী অভিনয় এবং ছবি তৈরী হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ছবি হচ্ছে এবং রিলিজ করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মাল্টিপ্লেক্সে। টিকিটের মূল্যের কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। বেসরকারি বিমানের মতো অবস্থা বুঝে মূল্য নির্ধারণ টাকাও উঠে আসছে দেদার।

বাংলা ছবি নিজের দিক পরিবর্তন করে কখনও প্রেম বা প্রেমের ভাঙন অথবা পরকীয়া প্রেম অনেকটা যেন রবি ঠাকুরের নষ্টনীড় বা শেষের কবিতার রিমেক। গ্রাম বা মফস্সলের কথা ভাবে না কেউই কারণ হল নেই। ফলে বাংলা ছবিকেও নির্ভর করতে হয় শহরের দর্শকের উপর এবং হল মালিকের মর্জির উপর। হল মালিক যদি দেখে পাঠান সারাদিন চালালে কোটি টাকা উঠবে তবে কেন তারা প্রজাপতি বা কাবেরী অন্তর্ধান দেখাবে?


Follow us on :