২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Song: 'চুরা লিয়া হে...' গানের সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারতীয় সঙ্গীত জগতে অবিস্মরণীয় আজও
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-02-02 19:14:01   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: ভারতে সিনেমা জগৎ থেকে আধুনিক হয়ে রাগ সংগীত যুগে যুগে চিরস্মরণীয় হয়েছে। কিন্তু মুখে মুখে সেই গান ঘুরছে কি? সংগীতপ্রেমীরা দুঃখ পেতে পারেন কিন্তু এই প্রশ্ন থাকতেই পারে। এ রাজ্যে আজকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা মঞ্চে আজকের সংগীতশিল্পীরা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অথবা মান্না দে কিংবা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান গেয়ে থাকেন। নিজেদের তেমন গান কোথায়? বিক্ষিপ্ত ভাবে নচিকেতা বা অনুপমরা গেয়েছেন বটে, কিন্তু মনে রেখেছে বা গুনগুন করে গাইছেন ক'জন? নব্য যুগে সিনেমার ধরণ পাল্টিয়ে গিয়েছে, সেখানে গানের প্রয়োজন বোধহয় খুব একটা জরুরি নয়। একই ঘটনা হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রেও।

রাজেশ খান্না অমিতাভ বচ্চনের ছবিতে যেমন গানের প্রয়োজন ছিল, তেমন কিন্তু শাহরুখের বা আমিরের ছবিতে প্রয়োজন হয় না। একেবারেই যে হয় না, তা নয় কিন্তু গানের ছবি হয় কোথায়? সম্প্রতি মুম্বইয়ের খ্যাতনামা গায়ক অভিজিৎ প্রায় চ্যালেঞ্জের সুরে এই বিষয়েই আক্ষেপ করেন। অথচ কুমার শানু, কিশোরকুমারের থেকে অনেক শত গান বেশি গেয়েছেন, প্রশ্ন হচ্ছে সেগুলি কি চিরস্মরণীয়?

লতা,আশা, কিশোর রফি একটি যুগ, একটি মাইলস্টোন। সঙ্গে ছিলেন মান্না দে প্রভৃতি। তাঁদের স্বর্ণযুগের গান আজকেও কেউ ভাঙতে পারেনি। ভাঙা সম্ভব নয়। এটা বাস্তব লতা মঙ্গেশকরের মতো সংগীতশিল্পী ভারত কেন বিশ্বে আসেনি। ৪o-এর শেষ ভাগ থেকে ২০১৫ অবধি এক নাগাড়ে বহু গান সিনেমার জন্য নানা ভাষায় গেয়েছেন এবং তা আজকেও অমর হয়েছে। লতা মূলত নায়িকার লিপে গান করেছেন এবং সেগুলি যুগের সঙ্গে চলেছে। কিন্তু আশা ভোঁসলে সব ধরণের গান যেকোনও শিল্পীর লিপে গেয়েছেন। যার মধ্যে পশ্চিমী সুরের প্রভাব ছিল বেশি। 

৫০/৬০ বছর পিছিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে তিনটি আশার গান আজও নিয়মিত মঞ্চে মঞ্চে গাওয়া হয়ে থাকে। পুরাতন হয়নি বিন্দুমাত্র। একটি 'দম মারো দম' একটি 'পিয়া তু অব তো আজা' এবং অবশ্যই রফির সঙ্গে 'চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে যো দিলকো'। শেষের গানটি সুপার হিট ছবি ইয়াদো কি বারাত ছবির। এই ছবির এবছর ৫০ পূর্ণ হলো, গানটিরও।


Follow us on :