দেশজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১। প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলে কর্ণাটকে। ৬৬ বছরের এক পুরুষ এবং ৪৬ বছরের এক মহিলার দেহে এই ভাইরাস প্রথম পাওয়া যায়। শনিবার গুজরাতের জামনগরে এক ব্যক্তির দেহে মেলে ওমিক্রন ভাইরাস। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন নাইজেরিয়া ফেরত। জয়পুরে আক্রান্ত ৯ জন। দিল্লিতেও একজনের দেহে মিলল ওমিক্রন।
তার মধ্যে আরও এক দুঃসংবাদ দেশবাসীর জন্য। দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলের। করোনার ভয়বহতার রূপে শিউরে উঠেছিল আপামর জনগণ। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই তৃতীয় ঢেঊয়ের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এবার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল। দীর্ঘদিন ধরেই মহামারী নিয়ে গবেষণায় রত তিনি। এবার তিনি জানালেন, আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতে আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ। রেহাই পাবেনা তৃতীয় ঢেউ থেকে দেশবাসী। তবে থার্ড ওয়েভের প্রভাব ততটা গুরুতর হবে না বলেই তিনি মনে করছেন।
আতঙ্কের মাঝে স্বস্তি রাজ্যের করোনা গ্রাফে। কিছুটা কমেছে সংক্রমণ। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২০ জন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ লাখ ১৯ হাজার ২৫৭। শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬২১ জন। ওইদিন কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১১। রবিবার সেই সংখ্যা ১০। বর্তমানে রাজ্যে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৩৯ জন । সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬২৭ জন। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৩২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ। পজিটিভিটির হার ১.৫৪ শতাংশ। এদিন কলকাতাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। শনিবার শহরে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৮৫ জন। রবিবার আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৭ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ সোমবার দেশে ৭৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১১ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৩৭ জন। তবে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন কতটা ভয়ংকর তা এক সপ্তাহের গ্রাফ দেখলেই কার্যত পরিষ্কার। এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ৩৮ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন এই স্টেন্ট। ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে কিনা তা পরবর্তী সময়ের অবস্থা বলে দেবে।