করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি 'ওমিক্রন' ইতিমধ্যেই দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে। হু-র পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে সেই খবর প্রকাশ্যে আনার পর আতঙ্কও কম ছড়ায়নি। এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তারা বেশ কিছু বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করে নির্দেশিকা পাঠালো রাজ্যে রাজ্যে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে দেশকে রক্ষা করতে কঠোর কন্টেইনমেন্ট, সর্বদা নজরদারি, করোনা টিকাকরণের হার বৃদ্ধি ও করোনাবিধি অনুসরণ করে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের তরফে যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, সেগুলি হল আন্তর্জাতিক যাত্রীদের উপর কড়া নজরদারি, করোনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধি, সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল বা হটস্পটগুলির উপর নজরদারি, দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ভ্রমণের ইতিহাস বের করার জন্য আগে থেকেই একটি ব্যবস্থাপনা রয়েছে। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই যাত্রীদের চিহ্নিতকরণ ও প্রয়োজনীয় রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য়গুলিকে। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষত, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যা যা শিথিল করা হয়েছিল, সেগুলি ফের ফিরিয়ে আনা হবে কি না, সেটাই এখন দেখার। ইতিমধ্যেই অবশ্য আন্তজার্তিক বিমানের ক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বেলেঘাটা আইডিতে আইসোলেশন সেন্টার করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, নয়া প্রজাতির করোনা ভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে ওমিক্রন। এটি তাদের ভাষায় উদ্বেগজনকও। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর যে প্রজাতি সনাক্ত করা হয়েছিল, তার নামকরণ করা হয়েছিল আলফা। এরপর একে একে আসে বিটা, গামা, ডেলটা। এবার ওমিক্রন। চলতি নভেম্বর মাসেই এটি ধরা পড়েছে বিশ্বের একাধিক দেশে। তবে প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
তারপরই হু বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য জানিয়ে দেয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সার্স-কোভিড-২-ভাইরাসের ওপর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে যে সংস্থা, তার নাম হল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ। এঁরা করোনা ভাইরাসের বিবর্তন এবং মিউটেশনের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে থাকেন নির্দিষ্ট সময় অন্তর। গত ২৬ নভেম্বর এই ওমিক্রন, অর্থাৎ বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনা ভাইরাস নিয়ে বৈঠকে বসে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি।