Share this link via
Or copy link
২০২০ থেকে ভয়ঙ্কর রোগ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্তও হয়েছিল। ইউরোপ-আমেরিকাতে এই ভাইরাস এমনই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল যে দিশাহারা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানের দেশগুলিকে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু হয়েছিল সর্বাধিক। কোনওটির নাম ছিল করোনা-১৯, কোনওটি মূল ভাইরাসের উপপ্রজাতি ডেল্টা। এরপর তৃতীয় ঢেউয়ের আগমন হল ওমিক্রন নামে। সেটি বরং মৃত্যুর দিক থেকে অনেকটাই আশঙ্কাহীন ছিল। কিন্তু এই ওমিক্রন ছড়িয়েছিল ঘরে ঘরে। এবার চতুর্থ ঢেউ এসেছে। যদিও বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এটি নাকি আরও দুর্বল। যতই দুর্বল হোক না কেন, তার আগমন ঘটেছে ভারতেও। ধীর লয়ে এগোচ্ছে এটি। শেষ খবর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা গতকাল ২,৮৫৮, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০, মৃত্যু ০। গণনার দিক থেকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু না থাকলেও বাংলায় কয়েক সপ্তাহের আগের থেকে সংখ্যা বেড়েছে। যতই যা হোক না কেন, কলকাতা-সহ বিভিন্ন প্রান্তে মাস্ককে বিদায় দিয়েছে অধিকাংশ মানুষ। অথচ এখনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা নেতা অথবা সেলেবরা কিন্তু মাস্ক পরছেন এবং পরতে অনুরোধ করছেন। যদিও বাধ্যতামূলক ব্যাপারটি এখন আর নেই। সতর্কতা দরকার। উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল, মৃত্যুও হয়েছিল বিস্তর। কয়েকটি জায়গায় কিন্তু কড়াকড়ি চলছে আজও। নিউটাউন-বাগুইহাটি কিংবা দক্ষিণ দমদমের বিভিন্ন প্রান্তে কড়াকড়ি রয়েছে বলে জানালেন জেলার অন্যতম নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। একইভাবে জেলার অন্যতম নেতা রাজীব চক্রবর্তী জানালেন, শুনছি তো আবার একটা ধাক্কা আসতেও পারে। আমরা মানুষকে মাস্ক পরতে বলছি। এসব অঞ্চলে সর্বদাই প্রচণ্ড ভিড় থাকে। ফলে সংক্রমণ এলে ছড়িয়ে পড়ে এই অঞ্চলগুলি থেকে। তবে রাজীব এখনও মাস্ক বিতরণ করছেন।