গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আজ ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ডে উপস্থিত হন এবং জানান, করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি এও বলেন, উচ্চ আদালত থেকে যে নির্দেশনামা এসেছে, তা মেনে চলতে হবে। আদালতের নির্দেশ ছিল, গঙ্গাসাগরে যাওয়ার আগে করোনা টেস্ট করতে হবে। যদি নেগেটিভ আসে, তবেই সাগরে যাওয়া যাবে, নতুবা নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এতো পুণ্যার্থীর টেস্ট করা কি আদৌ সম্ভব? এরই সঙ্গে এটাও বাস্তব, যারা গঙ্গাসাগরে যাচ্ছে, তাদের সিংহভাগ বাইরের রাজ্য থেকে এসেছে। এদের কেউ ট্রেনে, কেউ বাসে এসেছে। নিজের রাজ্য থেকে আসার সময় কেউ কি আর টেস্ট করিয়ে বেরিয়েছে?
প্রশ্ন অনেক। এই গঙ্গাসাগর ১৪ জানুয়ারি অর্থাৎ মকর সংক্রান্তির দিনে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ পৌছে গিয়েছে। এরা ফেরার পর ফের রাজ্যে করোনা বাড়তে পারে, জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। এরই ৮ দিন বাদে ৪ পুরসভায় ভোট।
সমস্যা বা ভয় সেখানে। এবারের ভোটার যারা, তারা চন্দননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং বিধাননগরের বাসিন্দা। এদেরই সঙ্গে কথা বলল সি এন পোর্টাল।
বিধাননগরের বাসিন্দা কৌশিক দাশগুপ্ত বলছেন, আতঙ্কে আছি। পাড়ায় অনেকেরই সংক্রমণ হয়েছে। ভোটের সময় যদি আমাদের কিছু হয়? শিলিগুড়ির রূপক আবার সরকারি দলের সমর্থক। জানাল, ভোট তো দিতেই হবে। যদি কিছু হয়, তবেও বিকেলের পর গিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। যাঁরা সরকারি কর্মী ভোটের কাজ করবেন, আতঙ্ক তাঁদের সবচাইতে বেশি। কয়েকশো মানুষকে ভোট দেওয়াতে হবে তাঁদের। আসানসোলের সোমনাথ রওনা দিয়েছেন মুম্বইতে। জানাচ্ছেন, ভোটে নেই বাবা। চন্দননগরের শুভা মুন্সির শশুরবাড়ির লোক আর ভোটের বিষয়ে উৎসাহী নয়। শুভা জানাচ্ছেন উদাসীনভাবে, দেখা যাক কী করা যায়।