গত দুদিন করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন দেশবাসী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু সেই স্বস্তি যে ক্ষণস্থায়ী ছিল তা বুধবারের করোনা গ্রাফ থেকে স্পষ্ট। ফের বাড়ল সংক্রমণ। ফের ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী , গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৪৪ হাজার ৮৮৯ জন বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৪১ জনের। মৃত্যুর সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ২০২ জন। দেশের পজিটিভিটি রেট ফের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.১৩ শতাংশ। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৮ লক্ষ ৩১ হাজার জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৯৪ হাজার বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যেভাবে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বাড়চ্ছে, তাতে আগামী দিনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বড় ঢেউ আসতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৫৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৫৮ কোটি ৮৮ লক্ষের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘ্নটায় দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৪২ জনের। পাশাপাশি বেড়েই চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৮ হাজার ৯৬১ জন।
উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতেও সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণে লাগাম দিতে বিভিন্ন রাজ্যে জারি করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। কোথাও কোথাও লকডাউনও করা হয়েছে। বাংলায় সংক্রমণে রাশ টানতে ৩রা জানুয়ারি নবান্ন থেকে একাধিক কোভিড বিধিনিষেধ লাগু করা হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ছিল ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবার বাড়ানো হয়েছে এই মেয়াদ। কিন্তু এবারেও শিথিল করা হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। ৫০ শতাংশ নিয়ে খোলা হয়েছে জিম, যাত্রা পালা। বিয়েবাড়িতে ৫০ শতাংশের বদলে ২০০ জন। তবে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, তাতে ভয় ধরাচ্ছে দেশবাসীর মনে।