সপ্তাহের শুরুতে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন দেশবাসী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু সেই স্বস্তি যে ক্ষণস্থায়ী ছিল তা বুধবারের করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ থেকেই স্পষ্ট। শুক্রবার একেবারে সাড়ে ৩ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছল সংক্রমণ। যা ভয় ধরাচ্ছে দেশবাসীর মনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী , গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ২৫৪ জন। যা বুধবারের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭০৩ জনের। মৃত্যুর সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৯৬ জন। দেশের পজিটিভিটি রেট ফের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৯৪ শতাংশ। আর সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১৬.৫৬ শতাংশ। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ২০ লক্ষ ১৮ হাজার ৮২৫ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৯৪ হাজার বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যেভাবে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বড় ঢেউ আসতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৭৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৬০ কোটি ৪৩ লক্ষের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯১২ জনের। পাশাপাশি বেড়েই চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৯ হাজার ৬৯২ জন।
দেশে পাশাপাশি রাজ্যের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতিতে ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যু। করোনার সংক্রমণে গত কয়েকদিনে কিছুটা লাগাম পরলেও মৃত্যু সংখ্যায় কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। আগেরদিন, অর্থাৎ বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৩৮। অর্থাৎ যেটুকু হেরফের হয়েছে,তা ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না। বৃহস্পতিবারের হিসাবেই ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ হাজারেরও বেশি। ধীরে ধীরে কমছে পজিটিভিটি হারও। এই হার এদিন ছিল ১৬.২৭ শতাংশ। মৃত্যু সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কলকাতাকে পার করে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এদিন কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯ এবং ১৪ জন।