রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে স্বস্তি এবং অস্বস্তি, দুইয়েরই মিলিত ছবি।
একদিকে যেমন রাজ্যে সংক্রমণ একই জায়গায় আছে, অন্যদিকে কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনার তথ্য চিন্তা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। রবিবারের আগে ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা মাঝে ৮৫০ এ পৌঁছে গিয়েছিল। সেটা আপাতত ৭০০র অাশপাশে রয়েছে, স্বস্তির জায়গা বলতে ওইটুকুই। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না। মাঝে তা কমলেও ফের ১২-১৪ র ঘরে পৌঁছে গেছে। সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গা হল, রাজ্যে যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনাতেই মারা গিয়েছেন ৫ জন। বাকি সাতজনের মধ্যে কলকাতায় ৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২, হুগলি ১ এবং জলপাইগুড়ি ১।
বোঝাই যায়, করোনার গ্রাফ এখন আবর্তিত হচ্ছে মূলত কলকাতাকে কেন্দ্র করে এবং দুই ২৪ পরগনাকে ঘিরে। কলকাতায় অাক্রান্তের সংখ্যাও ২০০ র আশপাশেই থাকছে। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় ১৯৮, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩০, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬২, হুগলিতে ৬০ এবং হাওড়াতে ৫৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন শেষ ২৪ ঘণ্টায়। বাকি সব জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কোথাও ৩ তো কোথাও খুবজোর ২৮ জন।
রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও তা সেই আগের ৭ হাজারের ঘরে কোনওভাবেই নামছে না। এদিন তা ছিল ৭ হাজার ৮০৪ জন।
রবিবার ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ৫০৯টি। এটাই মাঝে ৪০ হাজার, কখনও ৪৪ হাজারও হয়েছিল। ফলে ছুটির দিনে পরীক্ষা কমেছে। পরীক্ষা কম হওয়ার পরেও অাক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় না কমার প্রবণতা যথেষ্টই উদ্বেগের। অারও দুশ্চিন্তার, পজিটিভিটি রেটও ফের ২ এর উপরে উঠে হয়েছে ২.০১ শতাংশ।
করোনা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় রাজ্যে এর চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হাসপাতালের সংখ্যাও একই জায়গায় অাছে। এদিনের পরিসংখ্যান হল, কোভিডের সরকারি ১৯৬ এবং বেসরকারি ৭টি মিলিয়ে মোট হাসপাতালের সংখ্যা ২০৩টি। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯০৫ জন। এছাড়া এখন সেফ হোমে রয়েছে১৯৫ জন। হোম অাইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৭০৪ জনকে।
ফলে সামগ্রিক যা পরিস্থিতি, তাতে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা এবং পরিকল্পনা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেহেতু কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী জেলায় কাজেকম্মে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষই অাসেন, তাই এই জেলাগুলিকে রেডারে রাখা খুবই জরুরি, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।