শনিবার রাজ্যে করোনা সংক্রমণের চিত্রে খুব একটা আশা জাগানো হেরফের হল না। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১০ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। শনিবার সন্ধ্যার বুলেটিন অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যাটা ৭০১ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১১। অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে, কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা ২ জন বেড়ে গেছে। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৮ হাজার অর্থাৎ ৩৭ হাজার ৯১৭। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী সংখ্যাটা ৩৭ হাজার ১৮০। অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষা সামান্য কমেছে। সেই হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি কিছুটা হলেও উদ্বেগের, এটা বলাই যায়।
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা হল কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৭ জনই মারা গেছেন কলকাতা ও লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায়। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন যথাক্রমে ২ এবং ৪ জন। অর্থাৎ মোট যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৬ জনই এই দুটি জেলার। বলা বাহুল্য, এই দুটি জেলা নিয়ে পরিস্থিতি এখনও একইরকম আছে। বাকি ৫ জনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান হল এইরকম। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১, হুগলি ১, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১ এবং পূর্ব বর্ধমান ২।
রাজ্যে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একটু একটু করে কমলেও তা এখনও আগের সেই সাত হাজারের ঘরে নেমে আসেনি। এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী সংখ্যাটা হল ৭ হাজার ৮২০, যা আগের দিনের চেয়ে ২৭ কম।
নমুনা পরীক্ষার হিসেব অনুযায়ী, এদিন পজিটিভিটির হার ২ শতাংশের নিচেই ছিল, যা ১.৮৯ শতাংশ।
করোনার চিকিৎসায় যাবতীয় প্রস্তুতি অবশ্য রাজ্য সরকার নিয়েই রেখেছে। যেমন এখনও পর্যন্ত মোট ২০৩ টি হাসপাতাল করোনার জন্যই নির্দিষ্ট করা আছে। এর মধ্যে ১৯৬টি সরকারি এবং ৭টি বেসরকারি। সব মিলিয়ে বেডের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৪৭। তবে রোগী ভর্তির হার কিন্তু বেশি নয়, ২.৩৫ শতাংশ।