কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল মঙ্গলবার দেশের দৈনিক সংক্রমণে। ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজারের নিচে নেমেছিল করোনা (Corona) সংক্রমণ। কিন্তু সেই স্বস্তি ২৪ ঘণ্টাও স্থায়ী হল না। ফের বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজারের গণ্ডি। তবে স্বস্তির খবর, এতদিন ধরে চতুর্থ ঢেউ (4th Wave) আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছিল বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মহল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ (Corona Graph)। আর তাতে আশঙ্কা আরও প্রবল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এই চতুর্থ ঢেউয়ের উদ্বগের মধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) জানাল, ভয়ের কোনও কারণ নেই।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৫ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে দিল্লিতেই ১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানীতে পজিটিভিটি রেট প্রায় ৪ শতাংশের কাছাকাছি। আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানা। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। বৃহস্পতিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৩১। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ০০২ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Corona) থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৫৪৯ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৪৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬৮৮ জন। যা গতকালের থেকে কিছুটা কম। গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৫ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট টিকাকরণ (Vaccination) হয়েছে ১৮৯ কোটি ৮১ লক্ষের বেশি ডোজ। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ১৬ লক্ষের বেশি। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার (Coronavirus) সম্ভাব্য চতুর্থ ঢেউ রুখতে ফের স্কুলে স্কুলে বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচি গ্রহণের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণকেই প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। জোর দিতে হবে প্রিকশন ডোজে।