দেশে করোনা সংক্রমণে খানিক স্বস্তি মিললেও ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। গত দু বছর পর এবছর শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। চলছে চারধাম যাত্রাও। তীর্থযাত্রায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই সতর্ক কেন্দ্র। সংক্রমণ মোকাবিলায় এদিন রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বৈঠকে করোনা প্রতিরোধে সতর্ক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
করোনা গ্রাফ দেশে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আশঙ্কা চতুর্থ ঢেউয়ের। অক্সিজেন, শয্যা সংখ্যাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ঠিকভাবে কাজ করছে কীনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৪টি রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা।
করোনা প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই টিকাকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ অনেকেই নিয়েছেন। বুস্টার ডোজের সময় যাদের এসেছে এমন তীর্থযাত্রীদের দিকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নজর দিতে বলা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। একমাত্র উপসর্গহীন ব্যক্তিরাই তীর্থযাত্রার অনুমতি পাবেন বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। পাশাপাশি খোলা বড় জায়গায় তীর্থযাত্রীদের জমায়েতের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, একমাত্র চিকিত্সকের পরামর্শেই তাদের তীর্থযাত্রার অনুমতি মিলবে জানানো হয়েছে।
এই বৈঠকে মূলত চারটি বিষয়ের উপরে জোর স্বাস্থ্যকর্তাদের।
১. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা জারি রাখা।
২. জনসাধারণের উপরে টানা নজরদারি।
৩. বিভিন্ন হাসপাতাল ও পরীক্ষাগারগুলির উপরে নজরদারি।
৪. আক্রান্তদের মধ্যে যত সম্ভব ব্যক্তির জিনোম পরীক্ষা করা।
পাশাপাশি শ্বাসকষ্টজনিত বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ নিয়ে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের উপরেও কড়া নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এমনকী কোনও রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার দিকেও বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সব মিলিয়ে একদিকে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টণী, অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে সতর্কতায় জোর কেন্দ্রের।