দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে শুরু হয়েছে ১২-১৪ বছর বয়সীদের করোনার টিকাকরণ। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য, ১৬ মার্চ, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের কর্বেভ্যাক্স টিকাকরণের প্রথম দিন ছিল। মঙ্গলবার সেই টিকাকরণকে কেন্দ্র করে বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কর্বেভ্যাক্স দেওয়া যাবে শুধুমাত্র ১২-১৪ বছর বয়সীদেরকেই। ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বয়ঃসীমা। টিকা দেওয়ার দিনই যদি সেই শিশুর বয়স ১২ বছর হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেই সে টিকা পাওয়ার যোগ্য হবে। ১২ বছরের নিচে কাউকে টিকা দিলে, তার জন্য দায়ী থাকবেন ভ্যাকসিন প্রদানকারী এবং সেই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক।প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। এছাড়াও, যাদের জন্ম ২০১০ সালে, তাদের টিকা দেওয়ার সময় বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। কো-উইন রেজিস্টার করা থাকলেও ১২ বছর না হলে ভ্যাক্সিনেশন নয় কোনওভাবেই। এদিনের গাইডলাইনে স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। অন্যদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে চিকিতসকমহল।
তবে রাজ্যে দেরিতে হলেও ২১ মার্চ শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৪ বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, রাজ্যের হাতে আছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও। কলকাতা পুরসভাতেও মজুত আছে ভ্যাকসিন। এই প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য রাজ্যের প্রতিটি স্কুলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার থেকে শনিবার, প্রতিদিনই হবে টিকাকরণ। ২০ টি স্কুল, ৩৪ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রতি বরোতে ২ টি সেন্টার থাকবে। সাধারণ পদ্ধতিতেই হবে এই সমস্ত জায়গায় টিকাকরণ। প্রতি বরোতে ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থাকবে ২টি করে। এমনটাই সোমবার জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।