জুনেই আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ (Corona 4Th wave)। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানপুর আইআইটির গবেষকরা। যদিও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Covid 3rd wave) প্রকোপ কমতেই মানুষের মধ্যে আবারও উদাসীন মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার অনেকেই কমিয়ে দিয়েছেন। স্যানিটাইজার ব্যবহার তো সেখানে বিলাসিতা মাত্র। আর এই পরিণতি যে ফের ভয়ংকর হতে পারে, তা কয়েকদিন আগের ঊর্ধ্বমুখী পরিসংখ্যান (Covid 19 ) থেকে খানিকটা আন্দাজ করা গিয়েছিল। সংক্রমণের পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী ছিল মৃত্যুসংখ্যাও। তবে শনিবারের পরিসংখ্যান সামান্য হলেও স্বস্তি দিচ্ছে দেশবাসীর মনে। তবে ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুসংখ্যা ভয় জিইয়ে রাখছে।
শনিবারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৯২১ জন। যা বুধবার ছিল ৬ হাজার ৩৯৬ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮৯ জনের। মঙ্গলবার মৃত্যুসংখ্যা ছিল ২০১ জন। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ হাজার ৬৫১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৫ শতাংশ। উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল দেশের পজিটিভিটি রেট। বর্তমানে দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.১৫ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৭৮ জন।
এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৮৭৮ জন। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। যা মোট আক্রান্তের ০.২০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭৮ কোটি ৫৫ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২৪ লক্ষের বেশি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার ৯০৫ জনের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় খানিকটা কম। ্পাশাপাশি বাংলায় এদিনও করোনায় মৃতের সংখ্যা শূন্য। যা সত্যি সুখবর। সুস্থতার হার ৯৮.৮৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জন কলকাতার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিন ফের প্রথমে ওই জেলা। আগের দিনের তুলনায় অত্যন্ত সামান্য হলেও বেড়েছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনার। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ২২ জন। আগেরদিন ওই জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৫।