করোনার (Corona) সংক্রমণ বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার সামান্য কমল। বুধবার সংক্রমণ সামান্য বেড়ে হয়েছিল ৯১১। বৃহস্পতিবার যা ফের সামান্য কমে হল ৭৭৫। মৃত্যুসংখ্যা অবশ্য দুদিনই একই জায়গায় রয়েছে। এদিনও করোনায় চারজনের মৃত্যু (Death) হয়েছে।
তবে আশার কথা, সুস্থতার (Recovery) সংখ্যা রোজই আক্রান্তের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকছে। যেমন এদিন যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৭৫, সেখানে সুস্থতার সংখ্যা ছিল ১৯৪৩। তাই সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যা রোজই ভালোরকম কমছে। এদিন তা ছিল ৯৯৪৮। অর্থাত্ গত কয়েকদিনে ধাপে ধাপে কমতে কমতে এদিন তা দশ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। যদিও মাত্র বেশিদিন আগের কথা নয়, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ৩০ হাজারে।
এবারের করোনা-চিত্রে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মোট সক্রিয় আক্রান্তের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যকই ভর্তি আছেন হাসপাতালে। যেমন এদিন ৯৯৪৮ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র ৩৩৬ জন। বাকি ৯৬১২ জন রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। অর্থাত্, করোনা-আক্রান্ত বেশিরভাগই বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। এদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৬৭। পজিটিভিটি রেট ৬.৪২ শতাংশ।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৯৩ জন। যা বুধবার ছিল ১৭ হাজার ১৩৫ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। বুধবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪৭। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৩০ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.৩১ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৭৮। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৪৯ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৭ হাজার ০৩৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।