চিন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস (coronavirus) সংক্রমণ নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) প্রকোপ সামলে সুস্থতার পথে এগোচ্ছিল দেশ। করোনার বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছিল গত ৩১ মার্চ থেকে। বর্তমানে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনাগ্রাফ (Corona Graph)। বিশেষ করে রাজধানী দিল্লির (Delhi)অবস্থা রীতিমতো উদ্বেগ ধরাচ্ছে। দিল্লির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও বাড়ছে সংক্রমণ। এদিকে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে সংক্রমণ।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯২৭ জন। যা মঙ্গলবার ছিল ২ হাজার ৪৮৩ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে অনেকটাই নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। দৈনিক পজিটিভিটি রেটও কমে হয়েছে ০.৫৫ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৫৪ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ২৫২ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৬৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৭৯ জন। যা গতকালের থেকে অনেকটাই বেশি। গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট টিকাকরণ (Vaccination) হয়েছে ১৮৮ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি ডোজ। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২১ লক্ষের বেশি। গতকাল দেশে ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
তবে জুনেই আছড়ে পড়তে চলেছে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ (Covid 4th Wave)। তা নিয়ে বারবার সতর্ক করছে বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসক মহল। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত ১২ বছরের বেশি শিশুদের জন্য এই ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া হত। এবার সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি কর্বেভ্যাক্সকে ছাড়পত্র দিয়েছে। মঙ্গলবার কোভ্যাক্সিনকে(Covaxin) ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে ফের আগের মতোই বিভিন্ন রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছে। সোমবার কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড় মাস্ক বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে। আগামী দিনে বাংলাও সে পথে হাঁটতে পারে বলে মনে করছে একাধিক মহল।