বিশ্বের নানা দেশে সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন দেশের সংক্রমণ গ্রাফে কিছুটা স্বস্তি। চতুর্থ ঢেউয়ের (Corona 4th wave) আতঙ্ক যেন কাটছে ধীরে ধীরে। লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত দু'দিন সংক্রমণ এবং মৃত্যুসংখ্যা দুই-ই কিছুটা কমেছিল। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার সংক্রমণ এবং মৃত্যু সামান্য বেশি হলেও দুই হাজারের ঘরে রয়েছে আক্রান্ত। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে অ্যাকটিভ কেসও (Active Case)।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৮ জন। যা শুক্রবার ছিল ২ হাজার ৮৪১ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। শুক্রবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা (Death rate) ছিল ৯। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২০১ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Corona) থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৩৫৫ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮১৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ০৯৬ জন। যা গতকালের থেকে কম। গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট টিকাকরণ (Vaccination) হয়েছে ১৯১ কোটি ১৫ লক্ষের বেশি ডোজ। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ১৫ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে পাঁচ রাজ্যে সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে। দিল্লি (Delhi), কেরল (Kerala), হরিয়ানা (Haryana), মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) কোভিডের দাপাদাপি দেখা যাচ্ছে। দিল্লিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৯৯ জন। হরিয়ানায় দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৯। কেরলে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৯ জন। মহারাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩। উত্তরপ্রদেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭৫ জন। এই পাঁচ রাজ্যে নতুন কোভিড আক্রান্তের হার ৭৬.৮ শতাংশ। যার মধ্যে দিল্লিতেই এই হার ৩১.৪৬ শতাংশ।