আশঙ্কাই ধীরে ধীরে সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে। শনিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ র কাছাকাছি থাকলেও রবিবার তা ১৮০০ ছাড়িয়ে হয়েছে ১৮২২। আরও উদ্বেগের জায়গা হল, ফের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কদিনের মধ্যে এই নিয়ে দুবার করোনায় একদিনে তিনজনের মৃত্যু হল। ফলে শুধু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমন নয়। মৃত্যুও দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে।
আক্রা্ন্তের সংখ্যা যখন ব্যাপকহারে বাড়ছে, তখন সুস্থতার ক্ষেত্রে সেই চিত্র চোখে পড়ছে না। অল্প অল্প করে বাড়তে বাড়তে সবে তা ৫০০ র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। ফলে হোম আইসোলেশন এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও ভালোরকম বাড়ছে। যেমন এদিন সেই সংখ্যা সব মিলিয়ে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংখ্যাটা ১০ হাজার ৫৮৬।
করোনার উপসর্গ যে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ধরা পড়ছে, তার বড় প্রমাণ হল নমুনা পরীক্ষা। শনিবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৩৬। রবিবার ছুটির দিনেও তা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৯২১, অর্থাত্ ১৩ হাজারের কাছাকাছি। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ১৪.১০ শতাংশ।
অন্যদিকে, দেশের পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো নয়। রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ১০৩ জন। যা শনিবার ছিল ১৭ হাজার ০৯২ জন। এটা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম হলেও একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। শনিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ২৯। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ১৯৯ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ হাজার ৯২৯ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫১৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৭১১ জন। দেশে অ্যাকটিভ কেসের ০.২৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।