দেশে করোনা গ্রাফ(corona graph) ঊর্ধ্বমুখী। চতু্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় দেশবাসী। একাধিক রাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। অ্যাকটিভ কেসও(active case) ছাড়াল সাড়ে ১৮ হাজারের গণ্ডি।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬৮৮ জন। গতকালের তুলনায় যা খানিকটা বেশি। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১৪৯০ জন। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ১৮ হাজার ৬৮৪। গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি(positivity) রেট ০.৭৪ শতাংশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৩। সংক্রমণে যাতে লাগাম টানা সম্ভব হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুস্টার ডোজে জোর দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
তবে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও অবশ্য দেশে সুস্থতার হার স্বস্তিজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৭৫৫ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮৮ কোটি ৮৯ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ২২ লক্ষের বেশি। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আবার নতুন করে চিন্তায় ফেলছে মহারাষ্ট্রের সংক্রমণের হারও। রাজধানীতে করোনা চোখ রাঙানোয় সব মিলিয়ে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।