রবিবার ছুটির দিনেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় তেমন হেরফের হল না। এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫। উল্লেখ্য, একদিন আগে শনিবার সেই সংখ্যা ছিল ৩২। অর্থাত্, ছুটির দিনেও আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য হলেও বেড়েছে। শনিবার সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩৮, অর্থাত্, আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশিই ছিল। কিন্তু রবিবার সেই সংখ্যাটা একই। ফলে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যায় এদিন কোনও পরিবর্তন হয়নি। এদিনও তা ছিল ৩৭৮। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৫৯ এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপ আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। কিন্তু সমস্যা হল, আক্রান্ত এবং সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাকে কিছুতেই একেবারে শূন্য বা শূন্যের কাছে নামিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আক্রান্তের সংখ্যা কখনও ২০ তে নেমে আসছে, কখনও তা ৫০ এর ঘরে উঠে যাচ্ছে। তাই করোনাকে পুরোপুরি নির্মূল করাটাই এখন রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, করোনা নিয়ে সতর্কতা বা সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক কম। পথেঘাটে বহু মানুষই এখন মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছেন। ফলে এইসময় যে কোনও মুহূর্তে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
করোনার নমুনা পরীক্ষার দিকে তাকালেও দেখা যাবে, এখনও বহু মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে পরীক্ষা করাচ্ছেন। যেমন ছুটির দিনেও পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৯১৩ অর্থাত্ দশ হাজারের কাছাকাছি।
ফলে সচেতনতাই এখন পরিত্রাণের একমাত্র উপায়।