করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা দু হাজার ছাপিয়ে হয়েছিল ২৩৫২। বৃহস্পতিবার তা তিন হাজার ছুঁইছুঁই। এদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৮৯। এদিন পজিটিভিটি রেটও অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ১৮.৭৪ শতাংশ। ফলে করোনার পরিসংখ্যান এখন প্রতিদিনই উদ্বেগের ছবিই সামনে নিয়ে আসছে। করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে বারবার সতর্কবার্তা শোনানোর পরও যে মানুষের টনক নড়েনি, তা রাস্তাঘাটে বের হলেই বোঝা যায়। এদিনের পরিসংখ্যানে মানুষের সেই অসচেতনতার পরিণতিই প্রকাশ পেয়েছে।
বরাবরই একটা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চললেও সুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে খুবই শ্লথ গতিতে। ফলে হাসপাতালে ভর্তি এবং হোম আইসোলেশনে থাকার সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদিন তা ছিল ১৬ হাজার ৫৪৬। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৫৯ জন। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও নিত্য বেড়েই চলেছে। এদিন সেই সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার।
উল্লেখ্য, করোনার চতুর্থ ঢেউ আসন্ন ভেবে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়সীমা ৯ মাস থেকে কমিয়ে এনেছে ৬ মাসে। অর্থাত্ আরও বেশি সংখ্যক মানুষ টিকাকরণের আওতায় আসুন, এটাই চাইছে সরকার। কিন্তু শুধু টিকাকরণেই কি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? এই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।