রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বুধবারও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রইল। তবে পরিসংখ্যানে তেমন হেরফের ঘটল না। এদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কাছাকাছি, ৪ হাজার ৯৬৯ জন। আগেরদিনের হিসাব ধরলে সংখ্যাটা সামান্য বেশিই। তবে মৃত্যু সংখ্যায় খুবই সামান্য হেরফের হয়েছে। মঙ্গলবার যা ছিল ৩৭, বুধবার তা হয়েছে ৩৪। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটেনি। বরং মৃত্যুসংখ্যা গত কদিনের মতো এদিনও উদ্বেগজনক জায়গাতেই রয়ে গিয়েছে।
যদিও পজিটিভিটি রেট এখন কমের দিকেই থাকছে। এদিন তা ছিল ৭.৩২ শতাংশ। পরীক্ষা যে খুব কম, তা নয়। ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ হাজার ৮৬২।
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। দুটি ক্ষেত্রে মৃত্যুসংখ্যা যথাক্রমে ৬ এবং ৭। তুলনামূলক হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যুসংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, যথাক্রমে ১, ২ এবং ১ জন। তবে এদিনের পরিসংখ্যানে চোখ আটকে যাবে জলপাইগুড়ি জেলায়। এখানে মৃত্যুসংখ্যা আচমকাই বেড়ে হয়েছে ৭। বীরভূম জেলাতেও মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
গত কদিনে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন জেলাতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এতদিন তা মূলত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। ফলে সংক্রমণ ধাপে ধাপে ৫ হাজারের নিচে নেমে গেলেও মৃত্যুর সংখ্যা কিছুতেই কমছে না, বরং তা কলকাতা ও আশপাশ ছাড়িয়ে অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ছে।