রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ফের তিন হাজারের দরজা গোড়ায়। মাঝে টানা তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ছুঁইছুঁই। কিন্তু তারপর সংক্রমণে হালকা লাগাম পরেছিল। কিন্তু ফের সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। একইসঙ্গে করোনা এদিনও চারজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে করোনা-চিত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন তো নেই-ই, উল্টে পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
যদিও সরকারি বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা আঁচ করে কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। সরকার কেবলমাত্র মানুষকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার ব্যাপারে সচেতন করে যাচ্ছে। কেন্দ্রও বুধবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য বুস্টার ডোজ ফ্রি করে দিয়েছে। অর্থাত্, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিতে এগিয়ে আসুন, সরকারি তরফে তেমনই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, শুধু বুস্টার ডোজ দিলে বা নিলেই কি সংক্রমণ ছড়ানোর হাত থেকে পুরোপুরি নিস্তার মিলবে?
কারণ, পরিসংখ্যান বলছে, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বাড়ছে হোম আইসোলেশন এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। যেমন বুধবারের হিসাবেই গত ২৪ ঘণ্টায় হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২৬ হাজার ৭২৯ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭০৪ জন।
সুস্থতার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদিন সেই সংখ্যা প্রথম হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তা হাজারের নিচে ছিল। এদিনই তা হয়েছে ১৩৫৯। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে দ্রুতগতিতে বাড়ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা কোনও উপকারে আসছে না। আক্রান্ত এবং সুস্থতার মাঝের গ্যাপ বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদিন তা ছিল ১৬ হাজার ২৭। পজিটিভিটি রেট এদিন ছিল ১৮.৫৯ শতাংশ।