রাজ্যের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতিতে ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যু। করোনার সংক্রমণে গত কয়েকদিনে কিছুটা লাগাম পরলেও মৃত্যু সংখ্যায় কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না। যেমন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। আগেরদিন, অর্থাৎ বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৩৮। অর্থাৎ যেটুকু হেরফের হয়েছে,তা ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না। কিছুটা পিছনের দিকে গেলে দেখা যাবে, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা যখন শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল, তখনও কিন্তু মৃত্যুসংখ্যা এতটা উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছয়নি।
যেমন সপ্তাহখানেক আগের কথাই ধরা যাক। গত ১৩ জানুয়ারি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৪৬৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ২৬ জন। অথচ বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা যখন ৩৭ জন, তখন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৫৯, অর্থাৎ ১১ হাজারের নিচে।
এরপর থেকেই ধাপে ধাপে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। কিন্তু মৃত্যুর গ্রাফ ক্রমেই উর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে আক্রান্ত কমে যে স্বস্তি মেলার কথা, তা মিলছে না। বরং বেশি মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ।
তবে পরীক্ষার সংখ্যা মাঝে যেভাবে কমে গিয়েছিল, তা ফের বেড়েছে। যেমন বৃহস্পতিবারের হিসাবেই ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ হাজারেরও বেশি। ধীরে ধীরে কমছে পজিটিভিটি হারও। এই হার এদিন ছিল ১৬.২৭ শতাংশ।
মৃত্যু সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কলকাতাকে টপকে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এদিন কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯ এবং ১৪ জন। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনাতে আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় একই, ১৭৫০ এর আশপাশে। পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান মিলিয়েও মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।