ফের কোভিড আতঙ্ক গ্রাস করেছে চিনকে। বেইজিং মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক দৈনিক কোভিড -১৯ কেস রিপোর্ট করেছে। কোভিড বিধিতে কিছুটা শিথিলতা এনেছিল বেজিং। তার ঠিক কয়েকদিন পরে ঊর্ধ্বমুখী সেখানকার কোভিড গ্রাফ। সাংহাইয়ের মতো বিস্তৃত এলাকায় লকডাউন এড়ানোর জন্য কিছু বিধিনিষেধ পুনরায় আরোপ করতে চলেছে।
সোমবার শহরটিতে নতুন করে ৭৪জন সংক্রমিত হয়েছেন। যা ২২ শে মে-র পর সবচেয়ে বেশি। মহামারী নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তা ভাইস প্রিমিয়ার সান চুনলান বেইজিংকে "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব" প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও বেইজিং এবং সাংহাইয়ের সংক্রমণ এখনও মে মাসের শেষের দিকের থেকে কম। যখন কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল, তখন কর্তৃপক্ষ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে সাফল্য পেয়েছিল। তাই এবারও পুনরায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে বেজিং সরকার।
মাত্র দু'সপ্তাহ আগেই কোভিড বিধিতে কিছুটা শিথিলতা এনেছিল বেজিং। কিন্তু, ফের একবার চিনের রাজধানীতে মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিড। বেজিং থেকে কিছুটা দূরে শহরতলি এলাকায় একটি থিম পার্ক রিসর্ট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। পার্কের দরজা খুলতে না খুলতেই ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কর্মচারী।
চিনের দু'টি শহরে সবেমাত্র গত ১ জুন থেকে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে শি জিনপিংয়ের 'জিরো কোভিড নীতি'। কোয়ারেন্টাইন এলাকার বাইরের অঞ্চলেও নতুন করে ছড়াচ্ছে করোনা। নতুন করে করোনা পরীক্ষা শুরু করেছে প্রশাসন। চিনের মধ্যে সাংহাইয়ে সবচেয়ে বেশি করোনার প্রকোপ দেখা যায়। সংক্রমণকে বাগে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় চিনা প্রশাসনকে।
এই মুহূর্তে সাংঘাইয়ের ১৬ জেলার ১৫টিতেই RT-PCR চলছে জোরকদমে। এর মধ্যে পাঁচটি জেলায় আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রত্যেক বাসিন্দাকে বাধ্যতামূলক RT-PCR করতে বলা হয়েছে।