ফের শুরু করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) দৌরাত্ম্য। ইতিমধ্যে চিনের (China) একাধিক শহরে আবারও লকডাউন জারি করা হয়েছে। প্রায় এক বছর পর পড়শি এই দেশে ফিরল কোভিডে মৃত্যু। মারণ এই ভাইরাসের প্রভাবে চিনে এখনও পর্যন্ত দু'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াতেও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে কোভিড সংক্রমণ (Covid-19)। অন্যদিকে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ লক্ষ্য করা গিয়েছে হংকংয়ে (Hong Kong)। পরিস্থিতি এতটাই অবনতির দিকে, মৃতদেহ রাখার কফিনও নেই।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত তিন মাসে হংকংয়ে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি। পাশাপাশি দাপট বাড়াচ্ছে ওমিক্রন।
হু-র তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহের তুলনায় বিশ্বজুড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। মার্চের ৭ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১ কোটিরও বেশি মানুষ। আর এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, এটা কেবল হিমশৈলের চূড়া। মানুষ যদি এখনই সতর্ক না হয়, বা যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আগামী দিনে আরও বড় বিপদ আসতে চলেছে। এখনই সতর্ক হতে হবে সকলকে।
২০২০ সালে চিনের যে পরিস্থিতি ছিল, তার চেয়েও খারাপের দিকে এখন সেখানকার পরিস্থিতি। দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থাও ভীষণ খারাপের দিকে। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লক্ষের বেশি মানুষ। অপদিকে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপে। এছাড়া বিশ্বের একাধিক দেশের কোভিড পরিস্থিতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। উদাসীনতার জন্য চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাতে পারে।
তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইনে রাজ্যগুলিকে করোনা প্রতিরোধে আগের মতো ৫ কৌশল নীতি নিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। টেস্ট, ট্র্যাক, চিকিৎসা, করোনাবিধি এবং টিকাকরণ--এই পাঁচ পন্থায় এযাবৎকাল করোনা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।