রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত একই জায়গায়। বরং পরিস্থিতি এদিন আগের তুলনায় খারাপই বলা চলে। কারণ, এদিন করোনা রাজ্যে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৬ জনের। সাম্প্রতিককালে এটাই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু। গত কয়েকদিন ধরে মৃত্যুসংখ্যা ৩, ৪ বা ৫ এর মধ্যেই ঘোরাফোরা করছিল। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা সেই তিন হাজারের কাছাকাছিই ছিল, ২ হাজার ৮৩৯।
অন্যদিকে, সুস্থতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে এদিন। সেই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৬৩। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে সুস্থতার সংখ্যার ফারাক কিছুতেই কাটছে না। ফলে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এদিন সেই সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৬১৩। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার। বাকিরা ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
এদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৭২৮। পজিটিভিটি রেট এদিন ছিল ১৮.০৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, করোনা নিয়ে এদিন জরুরি বৈঠক হয় নবান্নে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, ডিজি মনোজ মালব্য, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সহ স্বাস্থ্যকর্তারা।মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বৈঠক করে করোনা মোকাবিলায় একাধিক নির্দেশিকা দেন। বুস্টার ডোজ নেওয়ার ওপরেও জোর দিতে বলা হয়েছে। বাজার, হাসপাতালের ভিড় সহ জনবহুল এলাকায় প্রত্যেকে যাতে মাস্ক পরে, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। পারস্পরিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে চলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ লাইন, হাসপাতাল, বাজার এলাকায় বিশেষ ক্যাম্প করে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।