আমরা বাঙালিরা কি একমাত্র মৎস্যভোগী? মোটেই না, বরং সারা বিশ্বের আমিষাশীরাই মাছ খেয়ে থাকেন। বাঙালিদের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। বাঙালিরা খাদ্যযোগ্য সব মাছই খেয়ে থাকেন। অবশ্য সব মাছ যে সবার পছন্দ এমন নয়। ভূতের দেওয়া বরে গুপীবাঘা হাতে তালি দিয়ে যে খাবার আনাতো, তার মধ্যে 'পোনা মাছ' থাকতোই। অর্থাৎ বাঙালির পাতে আর কিছু মাছ থাকুক বা না থাকুক রুই কিংবা কাতলা থাকবেই। অবশ্য ইলিশ মাছ বাঙালির খুব পছন্দের সঙ্গে খায়, সঙ্গে চিংড়ি থাকলে তো বাড়তি পাওনা।
এরপর যে মাছটির উপর ঝোঁক তা ভেটকি, বাঙালির বাড়ির কোনও উৎসবে এই তিন মাছ থাকবেই। এছাড়া আর, পমফ্রেট, পোনা মাছ-সহ বোয়াল ইত্যাদি তো রয়েছেই। আজকাল বড় রেস্তোরাঁতেও এই সমস্ত মাছের ডিশ থাকে। পেটের রুগীদের জন্য আবার চিরকালের মাগুর মাছ তো আছেই।
রাজ্যের বাইরে মাছের চল সবথেকে বেশি ওড়িশা-অসমে। ওরাও আমাদের মতোই মাছের ঝোল খেয়ে থাকেন। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মাছের ঝোলের রীতি নেই। দেখা যায় বেশি জায়গাতেই কম কাঁটাওয়ালা মাছভাজা খাওয়া হয়ে থাকে। মুম্বই বা কেরলা বা সমুদ্রতটের কোনও জায়গায় সামুদ্রিক মাছের চল বেশি। ওখানে ভাজা মাছ বা স্মোক ফিশ খাওয়া হয়ে থাকে।
বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপ বা আমেরিকায় মানুষ নানা ধরনের মাছ খেয়ে থাকেন। এসব দেশে মাছের রান্নার নানা রেসিপিও থাকে। এসব দেশগুলোতেও সামুদ্রিক মাছের চল বেশি। বিদেশে মাছ ভাজা হয়ে থাকে নানা ভাবে। তবে বিদেশে তন্দুরির চল, সবথেকে বেশি, স্মোক ফিসও চলেছে। তবে এর মধ্যে চিন বা কোরিয়ার রান্না একেবারে ভিন্ন ধরণের। সেখানে সেদ্ধ মাছ খাওয়া হয়ে থাকে। প্রথমে সেদ্ধ করে তার মধ্যে নানা সস দেয় ঝোলের মতো বানানো বানানো হয়। চিনারাই মাছের ঝোল ভাত খেয়ে থাকে বাঙালিদের মতোই।