২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Royal: রয়্যাল ইন্ডিয়ান হোটেলে এসেছেন সত্যজিৎ থেকে কপিল দেব, চাপের চাহিদা আজও তুঙ্গে (শেষ পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-11 08:56:16   Share:   

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: আজ থেকে ১১৭ বছর আগে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় সুদূর উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে আহমেদ হুসেন নামের এক যুবক ভাগ্য অন্বেষণে কলকাতায় আসেন। চিৎপুরে একটি ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে মোগলাই খাবারের দোকান শুরু করেন। দোকান খোলার কিছুদিনের মধ্যেই আহমেদের তৈরি মটন চাপের স্বাদ কলকাতার খাদ্যরসিকদের মুখে লেগে গেল। পাতলা ফিনফিনে রুমালি রুটি সহযোগে সুস্বাদু মটন চাপের স্বাদ কলকাতার খাদ্যরসিকরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে লাগলো।


পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়, পণ্ডিত রবিশঙ্কর থেকে উত্তমকুমার, রাজ কাপুর, দিলীপ কুমার, রাজেশ খান্না, আমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী, আমজাদ খান, সুচিত্রা সেন, রাখি, শর্মিলা, শাবানা আজমি, ওয়াহিদা রহমান, পতৌদিরা এসেছেন এই হোটেলে। বাদ যাননি সুনীল গাভাসকর, কপিল দেব, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রাও। প্রত্যেকেই এখানকার মাটন চাপের স্বাদ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দল কলকাতায় এলে দল বেঁধে রয়্যালের মটন চাপ ও রুমালি রুটি খেতে আসেন। আহমেদের তৈরি মাটন চাপ এখন ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। আহমেদের মৃত্যুর পরে তাঁর ছেলে ও নাতিরা পুরানো রেসিপি মেনে আজও মটন চাপ তৈরি করেছেন। তাই আজও এখানকার মাটন চাপের স্বর্গীয় স্বাদে কোনও ভাটা পড়েনি। বর্তমান অন্যতম কর্ণধার মহম্মদ ইরফান জানালেন যে আজও খাবারের গুণগত মানের সঙ্গে কোনওরকম আপোস করে না এই হোটেল। এমন কোনও বাঙালি খাদ্যরসিক খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা রয়্যালের মাটন চাপ চেখে দেখেননি। 

বাঙালি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে চলেছে রয়্যাল ইন্ডিয়ান হোটেলের মটন চাপের স্বাদ।


Follow us on :