সামনেই পয়লা বৈশাখ। দিনটি নানাভাবে দুই বাংলার মানুষ পালন করে থাকেন। এ বাংলায় হিন্দু ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর মধ্যে দিনটি শুরু করেন, সারা বছরের ব্যবসা বলে কথা। মন্দের বাজারে ভগবানই ভরসা, এমন ভাবনা তাঁদের নিশ্চিত। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে অধিকাংশ অফিস-কাছারি বন্ধ থাকে।
ওপার বাংলায় আরও বড় করে পালিত হয় 'পহেলা বৈশাখ'। দুই বাংলা একটি বিষয়ে সহমত থাকে, তা হচ্ছে খাওয়া-দাওয়া। আজকাল অনেকেই দুপুরের খাওয়াটি সারেন বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। কিন্তু ঘরের রান্নার আনন্দই আলাদা। বাংলাদেশে এই দিনটিতে মধ্যবিত্তের বাড়িতে অবশ্যই দু-তিন রকমের মাছ রান্না হবেই। তাঁরা মূলত মাছপ্রিয় মানুষ। আর হবে নাই বা কেন? ইলিশের স্বাদ পেতে গেলে পদ্মার ইলিশ খেতেই হবে। এছাড়া বাংলাদেশে সুস্বাদু তরকারির পদও থাকে পহেলা বৈশাখে। দিনটি তাঁরা শুধু খাওয়া নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উৎযাপন করেন। এই বছরটিতে অবশ্য রমজান মাস পরে যাওয়ায় খাওয়ার বিষয়টি তোলা থাকবে বিকেল বা সন্ধ্যার জন্য। কিন্তু সারাদিন বাংলা গান বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীতের আয়োজন থাকছেই।
এপার বাংলায় অবশ্য মাংস মাস্ট। রকমারি মাছ অবশ্য সাধারণ বাড়িতে থাকে না। থাকবে কী করে, অর্থনৈতিক সংকট তো চলেছে। কিন্তু তারই মধ্যে ভাত, ডাল, একটা তরকারি আর মাংস থাকছেই। থাকতে পারে আমের চাটনি।
একটা সময় দুই বাংলাতেই পয়লা বৈশাখে বাঙালির বাড়িতে পোলাও থাকতই। চমৎকার স্বাদ ছিল তার। মাংসের পোলাও বা ওদেশে মাছের নানান পদের সঙ্গে পোলাও ছিল মাস্ট। আজকাল টাটকা ঘিয়ের দর্শন পাওয়াটাই সমস্যার। বাজার চলতি ঘি বেশিরভাগ সময় উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশন করতে পারে না। বাঙালি পরিবার টাটকা ঘি পেলে নিশ্চই পোলাওয়ের জগতে ফিরে যেতে চাইবে। এই নানান খাওয়া নিয়েই সিটিভিএন প্লাস অনুষ্ঠান এনেছে 'নালে ঝোলে হেঁশেলে'। দেখতে পাবেন সোম থেকে শুক্র দুপুর ২.৩০ এ। অংশগ্রহণ করতে পারে আপনার পরিবারও।