পোলাও খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। আমিষ, নিরামিষ মিলিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পোলাও খেয়েছেন। কিন্তু সোয়াবিনের পোলাও খেয়েছেন কি? না খেয়ে থাকলে একবার খেয়ে দেখতে পারেন। স্বাদেও ভালো। আর সোয়াবিনের যথেষ্ট খাদ্যগুণও রয়েছে। যাঁরা উৎসাহী, তাঁরা বাড়িতে বানিয়ে পরিবারের সবাইকে খাইয়ে খুশি করে নিজে খেয়েও খুশি হোন।
সোয়াবিন পোলাও তৈরির পদ্ধতি--তিনশো গ্রাম বাসমতি চাল জলে ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিন। এবার বাসমতি চাল জলে ভিজিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। বড় দুই মুঠো সোয়া চাঙ্ক বা সোয়া বড়ি জলে দিয়ে আঁচে বসিয়ে সিদ্ধ করে নিন। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে হাতের সাহায্যে সোয়া বড়িগুলো চিপে জল ঝরিয়ে নিয়ে একটি পাত্রে আলাদা করে রাখুন। এবার ওর মধ্যে একশো গ্রাম ঘন টক দই, এক চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, আন্দাজমতো নুন দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে মেখে নিন। আধ ঘন্টা আলাদা করে রাখুন।
প্রেসার কুকার আঁচে বসিয়ে এক বড় চামচ সাদা তেল ও দুই বড় চামচ ঘি গরম করে দুটো বড় দারচিনির স্টিক, পাঁচটা ছোট এলাচ, পাঁচটা লবঙ্গ, দুটো তেজপাতা ও হাফ চা চামচ সাদা জিরে ফোড়ন দিন। এবার তিনটে মাঝারি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। এক বড় চামচ রসুন বাটা ও এক চা চামচ আদা বাটা দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। তিনটে কাঁচা লঙ্কা কুচি ছড়িয়ে দিন। তিনটে মাঝারি টমেটো কুচি দিন। খুব ভালো করে কষে নিন। হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক বড় চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, এক চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
এবার ম্যারিনেট করা সোয়া বড়িগুলো দিয়ে মিনিট সাতেক নিভু আঁচে নেড়ে কষুন। আন্দাজমতো নুন দিন। এক মুঠো ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে কষুন। এবার ভেজানো বাসমতি চাল দিয়ে নেড়ে মেশান। এবার এক বাটি জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। প্রেসারের ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে রান্না করুন। দুটো সিটি বেজে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এই অবস্থায় মিনিট পনেরো রেখে দিন। পনেরো মিনিট বাদে প্রেসারের ঢাকনা খুলে পোলাও পরিবেশন করুন রায়তা সহযোগে।