
পুরনো কয়েন, নোট, সংবাদপত্র এবং বেশ কিছু পুরনো আসবাবপত্র নিয়ে প্রদর্শনী শহর বহরমপুরে। শহরে এই প্রথম এই ধরনের প্রদর্শনী, যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। প্রদর্শনীতে দেশ ও বিদেশের পুরনো কয়েন ও নোট রাখা আছে। সেইসঙ্গে ব্রিটিশ আমলের দেশ-বিদেশের দলিল, পেন, ঘড়ি সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে স্বাধীনতার প্রাক্কাল ও পরবর্তী সময়ের সংবাদপত্র। এককথায়, প্রাচীন ইতিহাস মনে করিয়ে দেওয়ার মতোই জিনিসপত্র রাখা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
লালগোলা রাজবাড়ির বংশধর কেদার রায় জানান, শহরে এই প্রথম এই ধরনের প্রদর্শনীতে খুশি তাঁরা। প্রতি বছর এইভাবেই প্রদর্শনী হলে আরও ভালো লাগবে তাঁদের। সাধারণ জনগণ আরও জানতে পারবেন মুর্শিদাবাদের ইতিহাস সম্পর্কে। তাঁদের কাছেও অজানা কিছু তথ্য ছিল, যা এই প্রদর্শনীতে এসে জানতে পেরেছেন। বেশ কিছু কয়েন কিনেছেনও তিনি। বাড়িতে রাখা আছে আরও কিছু সংগ্রহ। ব্রিটিশ, মোগল ও পর্তুগিজ সহ একাধিক সময়ের ঐতিহাসিক জিনিসের সম্ভার রয়েছে প্রদর্শনীতে, যা তাঁরা প্রথম দেখছেন।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সহিদুল ইসলাম জানান, মুর্শিদাবাদ একটি ঐতিহাসিক জায়গা। সুলতান, মোগল, ওলন্দাজ সহ আরও অনেকে এই জায়গা থেকেই তাঁদের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এখান থেকেই গোটা ভারতবর্ষ রাজ করেছিলেন। তাই মুর্শিদাবাদ ভারতবর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। আর সেই ইতিহাসকে খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রাচীনকালের মুদ্রাতেই। মুদ্রা থেকেই সঠিক তথ্য সবার সামনে উঠে আসে।
যেমন, ঔরঙ্গজেবের আমল থেকে এই মুদ্রায় মুর্শিদাবাদ লেখা আছে। সেই সময়, এই জায়গা মার্কসুদাবাদ নামে পরিচিত ছিল। এরপরই কয়েন ছাপানো হলে তাতে মুর্শিদাবাদ নামটি খোদিত হয়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সোনার দোকানে কোনও গ্রামের মানুষ কয়েনগুলি দিয়ে গেলে, সেখান থেকেই তাঁরা এগুলি সংগ্রহ করেন। তিনি পেশায় শিক্ষক হলেও তাঁর নেশা এই কয়েন সংগ্রহ করা।
এছাড়াও অন্য এক অংশগ্রহণকারী জানান, এত ভিড় দেখে ভালো লাগছে। প্রদর্শনীতে বিক্রির পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের পুরনো কয়েন ও টাকা যথেষ্ট নজর কেড়েছে বহরমপুরবাসীদের।