
বছরের পর বছর বাড়ির সামনে জমে আবর্জনা। অথচ কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সার্ভিস রোডে জগাছা সুন্দরপাড়ার ঘটনা। বাড়িটির নাম মণ্ডল ভিলা। বাড়িটির বাউন্ডারির ভিতরেই রয়েছে একটি রেস্তোরাঁ। করোনাকালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর রুজিরোজগারের তাগিদে আবার তা চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন বাড়ির মালিক। তবে উপায় কোথায়? রেস্টুরেন্টে যাওয়া আসার জন্য যে প্রবেশ পথ রয়েছে, তার মুখেই স্তূপাকার হয়ে পড়ে আছে জঞ্জাল, ময়লা আবর্জনা। এককথায় যা দুর্গন্ধে ভরা, একেবারে যাতায়াতের অযোগ্য বলাই চলে। বাধ্য হয়ে যে পথে গাড়ি প্রবেশ করে বাড়ির, সেই দরজা ব্যবহার করতে হচ্ছে হাঁটাচলার জন্য। একদিকে একটু একটু করে বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। ঠিক অন্যদিকে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। তারই মধ্যে আবার বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেলা। বাড়ছে মশা, মাছির উপদ্রব। ফলে আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
মণ্ডল ভিলার মালিকের অভিযোগ, এখন শীতকাল বলে শুধু গন্ধটুকুই পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষাকাল বা একটু বৃষ্টিতেই এখানকার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে। ক্রমশ বাড়ির মেন গেট দিয়ে বেরোনো দুর্বিষহ হয়ে উঠছে তাঁদের। তাঁর অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে স্থানীয় কিছু মানুষই এই কাজ করছে। তবে কে বা কারা তা এখনও অধরা। প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য,হাওড়া কর্পোরেশন এলাকার নাগরিক পরিষেবা ত্বরান্বিত করতে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার হাওড়া কর্পোরেশনের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কিছু উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা যে কোনওরকম সমস্যা নিয়ে কর্পোরেশনের হেল্পলাইন নম্বর ৮১০০৮৮৩৩০০ তে ফোন করতে পারবেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের উদ্যোগ নেবে কর্পোরেশন। সমস্যার সমাধান হওয়ার পর অভিযোগকারীকে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে অবগতও করা হবে। সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হবে বোরো ভিত্তিক যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের কাছে। এলাকার ছোট-বড় সমস্যাগুলির সমাধানের জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।
বাড়ির সামনে বর্জ্য জমার ঘটনায় শুধু বাড়ির মালিক নয় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় পথ চলতি মানুষেরাও। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। আর নির্বাচনের আগে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই জিততে মরিয়া। এখন জগাছা সুন্দরপাড়ার বাসিন্দারাও দূষণমুক্ত পরিবেশ পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।