
একজন পেলেন, আর একজন পেলেন না। যিনি পেলেন না, তিনি নিজেকে শেষ করে দিলেন। এমনও হয়? বাস্তবে হল তাই। লটারি কেটে সর্বস্বান্ত হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার রঘুনাথপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিমারির মহিষদা গ্রামের যুবক সুরজিৎ চন্দ্র। অবশেষে দিনকয়েক আগে তিনি বেছে নেন আত্মহননের পথ। অন্যদিকে ডিমারির পাকুড় গ্রামের ফুটপাতে মাছ বিক্রি করেন মৎস্যজীবী শক্তি বর্মণ। দিন আনা দিন খাওয়া ওই মৎস্যজীবী লটারিতে এক কোটি টাকা পেলেন। খুশির হাওয়া শক্তিবাবুর পরিবারে। কী অদ্ভুত সমাপতন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিমারিতে।
তবে লটারি কেটে নিঃস্ব হয়ে আত্মহত্যার ঘটনাকে দুঃখজনক বলেই জানান তিনি। শক্তিবাবু বলেন, আশা করা ভালো, কিন্তু লোভ ঠিক নয়। সবার আগে তাঁর সংসারের কথা ভাবা উচিত ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরজিৎ লটারির নেশাতেই সর্বক্ষণ বুঁদ হয়ে থাকতেন।
সুরজিতের মণিহারি দোকান ছিল। তিনি দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার লটারি কাটতেন।
হাজার হাজার টাকা খরচ হয়ে গেলেও তিনি ফের লটারি কাটতেন। পরিবারের দাবি, সেই কারণেই আত্মঘাতী হন সুরজিৎ।