
দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার নীলগঞ্জের ভয়াবহ বিস্ফোরণের (explosion) স্মৃতি এখনও টাটকা। স্বজন হারানোর ক্ষতটা এখনও দগদগে। তার মধ্যেই ফের বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছির উলা মাঝের পাড়া গ্রাম। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি ক্ষেতের পাশে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, এর আগেও বহুবার উলা মাঝের পাড়ায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এলাকায় বোমা বাঁধত আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ এলাকাবাসীদের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
একের পর এক বিস্ফোরণের পরেও কেন তৎপর নয় প্রশাসন? এর আগে বিস্ফোরণের ঘটনার কথা কিছুই কি জানা নেই প্রশাসনের? যদিও আগে একাধিকবার বিস্ফোরণের অভিযোগ সম্পর্কে নাকি কিছু জানা নেই অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নিজামুল কবির। এমনটাই দাবি করলেন তিনি। বোমা তৈরির কাজ করে শাসকদলের লোক। পাল্টা অভিযোগ আইএসএফ কর্মী আব্দুর রহিম-এর।
দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্চের বিস্ফোরণের জের কাটতে না কাটতেই ফের কদম্বগাছিতে বিস্ফোরণ। যে কদম্বগাছি দত্তপুকুর থানার আওতাধীন। একই থানার অন্তর্গত দুটি জায়গায় কিছুদিনের ব্যবধানে বিস্ফোরণ। তবে কি কোথাও প্রশাসনের নজরদারিতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে? নীলগঞ্জ বিস্ফোরণে পর ধারাবাহিকভাবে ওই এলাকা থেকে বহু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। প্রশাসনিক তৎপরতা শিথিল হতেই ফের আবারও কি মজুত করা হচ্ছিল বোমা? উঠছে প্রশ্ন।