
নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক (IX and X Teachers) নিয়োগের ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এমনকী বেতন ফেরতের কথাও বলেন। ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দরজায়। দেশের শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ আসা না পর্যন্ত নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ বাতিল হচ্ছে না।
সোমবার এই মর্মে জেলার স্কুল পরিদর্শকদের কাছে পর্ষদের নির্দেশিকা যায়। সেখানে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় আসা না পর্যন্ত নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের চাকরি বৈধ। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের পরবর্তী নির্দেশ আসা না পর্যন্ত পর্ষদের দেওয়া নিয়োগপত্র বৈধ থাকবে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের।
রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতে মামলা হয় হাইকোর্টে। রাজ্যের উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তারপর দেখা যায়, শাসক দলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়াতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতিতে। অনেকে গ্রেফতারও হন।
প্রাথমিক থেকে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগে দুর্নীতির গন্ধ পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেক চাকরি বাতিল হয়। তারমধ্যে ছিল নবম-দশম শ্রেণির ‘অযোগ্য’ শিক্ষকরাও।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকুরিহারারা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চের বেতন ফেরতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশ বহাল। পরে এই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়।