
প্রসূন গুপ্ত: রাজ্য মন্ত্রীসভার কিছু পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল, সেটাই বিদেশ সফরের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে সেরে ফেললেন। অবিশ্যি পদ পরিবর্তন করার আগে রাজ্যপালকে জানাতে হয়। সেই মোতাবেক নবান্ন থেকে আনন্দ বোসের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিলো ওই চিঠিতে নাকি রাজ্যপাল সই করছেন না। বাস্তবে দেখা গেলো রাজ্যপাল সম্মতি জানিয়েছেন। শনিবার থেকে একটি জল্পনা বাজারে ঘুরছিলো যে রাজ্যপাল মিডিয়ার সামনে মধ্যরাতে কিছু করবেন। এই নিয়ে জল্পনা কূটকচালি চলছিল কিন্তু রাজ্যপাল আজ ফের মিডিয়ার সামনে যা বললেন তাতে বিষয়টি নেহাতই মামুলি মনে হয়েছে।
প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু পুরাতন সহকর্মী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাপ্তি ভালোই হলো। ছিল বন দফতর যুক্ত হলো শিল্প পুনর্গঠন দফতর। জ্যোতিপ্রিয় ফোনে জানালেন যে, তিনি দলের একনিষ্ঠ কর্মী অতএব 'দিদি' যা দায়িত্ব দেবেন করে যাবেন। অরূপ রায়ের হাত থেকে সমবায় দফতর চলে গেলো দুর্গাপুরের প্রদীপ মজুমদারের হাতে। প্রদীপবাবুর হাতে একই সাথে থেকে যাচ্ছে পঞ্চায়েত দফতরও। ধাক্কা খেলেন বাবুল সুপ্রিয়। শোনা যায় তিনি নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইদানিং দলে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। সম্প্রতি বিধানসভায় তাঁর হাতে থাকা পর্যটন দপ্তরের বিষয়ে আরেক সংগীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেনের বেশ গরম গরম বাকবিতন্ডা হয়। মন্ত্রিত্ব যায় নি কিন্তু বাবুলের হাত থেকে পর্যটন দফতরটি চলে এলো ইন্দ্রনীলের হাতে। ইন্দ্রনীল এখন প্রতিমন্ত্রী হিসাবে পর্যটন ও তথ্য দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন। অন্যদিকে বাবুলের হাতে রইলো তথ্য প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন মন্ত্রকের সাথে নতুন দফতর চিরাচরিত শক্তি দফতর। উত্তরবঙ্গের গুলাম রাব্বানীর হাতে আপাতত কোনও দফতর থাকলো না। মমতা ফিরে এসে ব্যবস্থা নেবেন। এই পরিবর্তনের বিষয়ে মন্ত্রীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বেশ মেজাজেই নবান্নে দেখা গেলো।