
প্রসূন গুপ্তঃ খুবই দ্রুততার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটার দিন ধার্য হয়ে গেলো। সমস্ত ঘটনাটাই নাটকীয় ভাবেই হলো বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। সাধারণত এপ্রিলের শেষে বা মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত নির্বাচনগুলি হয়ে থাকে। পঞ্চায়েত ভোটও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু হচ্ছে হবে নাকি জল মাপছে তৃণমূল, ইত্যাদি জল্পনা ছিল। একই সঙ্গে এমন কথাও শোনা গিয়েছিলো যে তৃণমূলের অবস্থা এখন সুবিধার নয়, কাজেই পুজোর পরে ভোট হতে পারে। সি এন পোর্টালে কিন্তু বহুদিন আগেই জানানো হয়েছিল ভোট হবে জুলাইতে। তেমনটিই হতে চলেছে।
নাটকীয় বলা হচ্ছে এই কারণে যে, সৌরভ দাস কর্মক্ষেত্র থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই জল্পনা চলছিল কে হবেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল আনন্দ বোসের কাছে নাম পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধান সচিব রাজীব সিনহার নাম কিন্তু বোস আরও নাম পাঠাতে বলেন। সেই মোতাবেক নাম পাঠানো হয় অমিতরঞ্জন বর্মনের যিনি প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দফতরের অফিসার। কিন্তু হঠাৎই চমক দিয়ে রাজ্যপাল রাজীব সিনহাকেই বেছে নেন। বুধবার চূড়ান্ত হয়ে যায় তাঁর নাম এবং বুধবারেই রাজীব দায়িত্ব নেন।
পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জানা গেলো ভোটার দিন ধার্য করা হলো ৮ জুলাই। রাজীব আর দেরি করেন নি। কাজেই বৃহস্পতিবার থেকেই মিটিং মিছিল রাত দশটা থেকে পরদিন সকল আটটা অবধি বন্ধ। নমিনেশন জমা দিতে হবে ৯ জুন থেকে ১৫ জুন অবধি। ভোটার পর সম্ভবত ১১ জুলাই গণনা হবে বলেই খবর। এই একদিনেই সমস্ত ভোটের প্রতিবাদ ইতিমধ্যে শুরু হয় গিয়েছে। কিন্তু বাস্তব এটাই এক মাসের মধ্যে এত হাজার হাজার প্রার্থী বাছাই করা বিজেপি থেকে কংগ্রেসের পক্ষে যথেষ্ট চাপের। তৃণমূলের সেই সমস্যা নেই। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত এক মাসের উপর রাজ্যের গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এবারে বিরোধীরা কি করে সেটাই দেখার।