শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে বসছেন। উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের সমস্ত বিধায়ক, সংসদ সহ জেলার উচ্চ নেতৃত্বকে। উত্তর দিনাজপুরের করিম চৌধুরী ছাড়া বাকি সমস্ত নেতাই উপস্থিত থাকবেন বলে সমাচার। এখন প্রশ্ন হলো কী বিষয়ে এই জরুরি তলব।
অনেক বিষয়েই আলোচনা থাকতে পারে। কিন্তু মূল আলোচ্য বিষয় হতে পারে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। গত পঞ্চায়েত ভোট তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য ছিল বহু অঞ্চলে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারে নি। এ ছাড়া নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগও ছিল বিস্তর। কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সিংহভাগ আসন দখল করা ছাড়াও সমস্ত জেলায় ক্ষমতায় এসেছিলো। অবশ্য এরপরই ছিল লোকসভা নির্বাচন, যেখানে উঠে আসা বিজেপি ১৮টি আসন দখল করেছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল তাদের নৈতিক পরাজয়। কিন্তু আবার ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে সঙ্গে ২১৩টি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসে তারা।
এবারের পঞ্চায়েতের আগে স্ট্রাটেজি ঠিক করা দরকার বলেই মনে করেন তৃণমূলের প্রধানরা। সাম্প্রতিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অনৈতিক বাতাবরণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে দলের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বহু নেতা। রাজ্যে সক্রিয় সিবিআই, ইডি ইত্যাদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি এতেও বদনাম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এ ছাড়া মূল যে বিষয়টি মমতাকে ভাবাছে তা সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সাগরদিঘির নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়। সংখ্যালঘু অঞ্চলে তৃণমূলের দিক থেকে সংখ্যালঘু ভোট সরে যাওয়াতে চিন্তিত মমতা।
আজকের আলোচনায় উঠে আসবে এই বিষয়গুলি বলেই ধারণা। অনেকেই ভাবছেন হয়তো বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বে বদল আসতে পারে কিন্তু আমাদের ধারণা ভোটের এক মাস এ রকম কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তিনি হয়তো বিশেষ দায়িত্ব দিতে পারেন কাউকে কাউকে। তবে মনে হয় ফের মমতা নিজেই নিজের হাতে মূল দায়িত্ব রাখবেন এবং তিনিই হবেন মূল চালিকা শক্তি।