
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে পোস্টার (poster) বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরপ্রধানের নামে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লিফলেট ছড়ানো হল শহর জুড়ে। চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরপ্রধান হিসাবে গৌতম গোস্বামীকে মানছি না মানব না-- এই পোস্টার ও লিফলেটে (leaflet) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বিষ্ণুপুরে। মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুরের (bishnupur) বিভিন্ন রাস্তায় এই ধরনের পোস্টার ও লিফলেট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। দিন কয়েক আগে বহিরাগত অর্চিতা বিদকে পুরপ্রধান হিসাবে মানছি না লেখা পোস্টার পড়েছিল বিষ্ণুপুরে। পুরসভায় ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এভাবে একের পর এক পোস্টার ও লিফলেট কাণ্ডে রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল (trinamul) শিবির।
বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। ওই পুরসভায় বোর্ড গঠন হয়নি। দলের তরফে এখনও ঘোষণা করা হয়নি পুরপ্রধান বা উপ পুরপ্রধানের নাম। তার আগেই সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নব নির্বাচিত পুরপ্রধান হিসাবে নাম ঘুরতে শুরু করে ওই পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম গোস্বামীর। সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই গৌতম গোস্বামীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেউ বা কারা বিষ্ণুপুর শহরের রাস্তায় রাস্তায় লিফলেট ছড়িয়ে দেয়। বিষ্ণুপুর নাগরিক সমাজের নামে ছাপানো এই পোস্টারে লেখা রয়েছে গৌতম গোস্বামী বিগত পুরবোর্ডের বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তাঁকে ডিগবাজির মহানায়ক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে লিফলেটে। ওই লিফলেটে গৌতম গোস্বামীকে পুরপ্রধান হিসাবে মানছি না বলেও দাবি করা হয়েছে।
গৌতম গোস্বামীর দাবি, এই লিফলেটের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিরোধীরা এই পোস্টার দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। দল সাধারণ মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজে শামিল। এ ধরণের কাজ করার মতো সময় তৃণমূলের নেই।
বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই আঙুল তুলেছে।
এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। তার আগেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম বিষ্ণুপুরে।