২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শুক্রবার এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও অবধি হওয়া সম্ভবত সবথেকে বড় রায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) রাজ্যকে ৩ মাসের মধ্যে পুনরায় সঠিক পদ্ধতিতে নিয়োগ সেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার বেনজির ভাবে সরকারকে নির্দেশ দেয় সরকার চাইলে মানিকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। সূত্রের খবর, এই মামলায় চাকরিচ্যুতরা আর আবেদন করতে পারবে না। এছাড়া জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সাড়ে ৬ হাজার প্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বহাল।
সূত্রের খবর, নিয়োগে নিয়ম মানা হয়নি, এই অভিযোগে ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়। অভিযোগ অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া ওই চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অ্যাপটিটিউড টেস্ট কী? শিক্ষক চাকরি প্রার্থীদের পড়ানোর কৌশল চক-ডাস্টার দিয়ে দেখাতে হয়। বোঝাতে হয়। অভিযোগ ওই প্রথা না মেনেই চাকরি দেওয়া হয় ওই ৩৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীদের। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন নিয়োগ বাতিল হলেও এখনই কারোর চাকরি যাবে না। অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি বহাল আগামী চার মাস। চাকরি বহাল থাকলেও তাঁর বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের স্কেলে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশে রীতিমত শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্যে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ চাকরিচ্যুত রা আবেদন তো করতেই পারবে না, বরং যে প্রার্থীরা পূর্বে আবেদন করেছিল কিন্তু চাকরি পায় নি। তাঁদের বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁদেরকে সুযোগ দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।