
মোটের উপর শান্তিপূর্ণ খড়দহ বিধানসভা উপ নির্বাচন। উপ নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল নিয়ে তৃণমূল- বিজেপি তরজা।
হেমন্তের সকালেও উপনির্বাচন উপলক্ষে শান্তিপুরে উত্তাপ।বিজেপি বুথ এজেন্টকে ভয় দেখানোর অভিযোগ। ভোট সন্ত্রাশ থেকে বাঁচতে নিজের ছেলেকে তালাবন্দী করে রাখলেন মা।তালিবানি শাসন। বললেন শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী
সল্টলেকের লেডিস হোস্টেলে তান্ডব। মারধর করা হয় হোস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীকে। প্রশ্নের মুখে জিডি ব্লকের আবাসিকদের নিরাপত্তা।
সল্টলেকের লেডিস হোস্টেলে তান্ডব। মারধর করা হয় হোস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীকে। প্রশ্নের মুখে জিডি ব্লকের আবাসিকদের নিরাপত্তা।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন। সরকারের নির্দেশ ছিল ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন। বাস্তব চিত্র বলছে অন্য় কথা। সকাল থেকেই বিভিন্ন লাইনের ট্রেনে দেখা গেল আগের সেই চেনা ছবিই। লোকাল ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড়। কোথাও ট্রেনে উঠতে না পেরে যাত্রীদের রেল অবরোধ।
অভিযোগ, ট্রেনের ভিতরে মানা হচ্ছে না করোনাবিধি। ভিড়ে ঠাসা কামরায় উধাও দূরত্ববিধিও। সোমবার সকালে ক্যানিং স্টেশনে যে ছবি ধরা পড়ল, তাতে দেখা গেল অনেক যাত্রীর মুখে নেই মাস্কও।
এদিকে হাওড়া-কাটোয়া লাইনের যাত্রীদের অভিযোগ, লোকাল ট্রেন চালুর আগে বাঁশবেড়িয়া ও ত্রিবেণীর মাঝে ইসলামপাড়া হল্ট রেলস্টেশনে স্পেশাল ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু লোকাল চালুর পর আর কোনও ট্রেনই থামছে না। অবিলম্বে ট্রেন দাঁড়ানোর দাবিতে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে লাইনের উপর বসে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অবরোধের জেরে হাওড়াগামী একটি ডাউন ট্রেন ইসলামপাড়ায় আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিস। এছাড়া বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার বামনগছিতে লাইনে কাজ হওয়ার কারণে সপ্তাহের প্রথমদিন ধীরগতিতে চলেছে ট্রেন।
রবিবার থেকে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে ভিড়ে ঠাসা যাত্রীদের নিয়ে চলছে ট্রেন। রবিবারের পর সোমবারও একই ছবি ধরা পড়ল। তবে এদিন যাত্রীসংখ্যা বেশি থাকায় সমস্যাও ছিল আরও ব্যাপক। সরকারি আইন যে আদৌ মানা সম্ভব নয়, তা বুঝিয়ে দিলেন ট্রেনযাত্রীরাই। সরকার ৫০ শতাংশ যাত্রীর কথা বললেও অধিকাংশ কামরায় তিনগুণ যাত্রী নিয়ে চলেছে লোকাল ট্রেন। প্রত্যেকেরই অভিযোগ, ট্রেন সংখ্যা না বাড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব।
রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হলেও, ঝাড়গ্রামে এখনও চালু হয়নি। রাজ্যের সমস্ত জায়গায় ৩১ অক্টোবর থেকে ট্রেন চালানোর নোটিফিকেশন জারি করলেও ঝাড়গ্রামকে তালিকায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদে সোমবার ঝাড়গ্রাম স্টেশনের বাইরে চলল যাত্রী বিক্ষোভ। তাছাড়া ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের নলপুর স্টেশনে লোকাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখালেন নিত্যযাত্রীরা।
ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে অবরোধ চলে। এখানেও যাত্রীদের দাবি, লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
ফলে ট্রেন তো চলল। কিন্তু সমস্যা যেন আরও বেড়ে গেল।
প্রথমদিনই ট্রেনে ভিড়ের বহর দেখে আশঙ্কার দোলাচলে দুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এমন ভিড় চলতে থাকলে সামাজিক দূরত্ববিধি যে কেবল খাতায়-কলমেই রয়ে যাবে, কোনও সন্দেহ নেই। দুর্গাপুজোর সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে বিধিনিষেধ জারি করেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তখন তো ট্রেনই চলেনি। সামনেই কালীপুজো, তারপরই জগদ্ধাত্রী। তখন কী হবে? এ নিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে।
এরকমই একটা প্রেক্ষাপটে অন্য ছবিও চোখে পড়েছে সোমবার। এতদিন পর যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন হকাররা। কারণ, দীর্ঘ ছমাস ট্রেন বন্ধ ছিল। যার জেরে আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যে বহু হকার রুজি-রুটি হারিয়েছেন। গত রবিবার থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করার আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা। তাঁদের সেই উচ্ছ্বাসের ছবি ধরা পড়ল সোমবার সকালে, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের শেওড়াফুলি স্টেশনে।
এখানকার হকার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নারকেল, ধূপ, মালা দিয়ে পুজো করা হল ট্রেনকে। হকারদের একটাই আর্জি, আর যেন আগের মতো পরিস্থিতি না হয়, আর যেন বন্ধ না হয়ে যায় ট্রেন। সেই কারণেই ট্রেনকে পুজো দিয়ে তাঁরা শুরু করলেন ব্যবসা। পাশাপাশি সামাজিকতার বার্তাও তাঁরা দিয়েছেন। স্টেশনে ইউনিয়নের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলির পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার জন্যও আবেদন জানালেন।
রাজ্যজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তাঁদের জীবনে বয়ে এনেছিল অভাব, অনাহার, দারিদ্রতা। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই রাজ্যজুড়ে বন্ধ হয়েছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। আর এই লোকাল ট্রেনের উপর ভিত্তি করেই দিন আনি দিন দিন খাই সেই সমস্ত হকারদের জীবনে নেমে এসেছিল এক অন্ধকারময় সময়। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে তাঁরা বিভিন্নরকম কাজকর্মের সাথে যুক্ত থাকলেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হতেই হাসি ফুটল তাঁদের মুখে। আশার আলো দেখছেন প্ল্যাটফর্ম তথা চলমান ট্রেনের হকাররাও।
আঁধার কাটিয়ে আলোয় ফিরলেন ট্রেনের হকাররা। কিন্তু ট্রেন চলায় আরও কি অন্ধকারের মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা? এই প্রশ্নটাই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আগরতলায়। তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোক আসছে দলে দলে। ভয় করোনা সংক্রমণের। তাই নয়া নির্দেশিকা ত্রিপুরা সরকারের। সঙ্গে বড় মাঠে সভা করার প্রস্তাব। উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি।
ফের ভাটপাড়ায় উদ্ধার ১৫টিরও বেশি তাজা কৌটো বোমা। পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর কলোনিতে পুকুর সংস্কারের কাজ চলাকালীন ঘটে এই ঘটনা। এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
ফের ভাটপাড়ায় উদ্ধার ১৫টিরও বেশি তাজা কৌটো বোমা। পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর কলোনিতে পুকুর সংস্কারের কাজ চলাকালীন ঘটে এই ঘটনা। এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
৩০ অক্টোবর উপনির্বাচনে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট শান্তিপুর ও গোসাবায়।মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রধান দুই শিবির
বিক্ষিপ্ত ঘটনায় গোটা দিন উত্তপ্ত ছিল দিনহাটা নির্বাচন।বিজেপি পোলিং এজেন্টকে মারধর, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, শেষ পর্যন্ত তৃণমূল প্রার্থীর প্রার্থীপদ খারিজের দাবি। আগামী ২ নভেম্বর ভোট ফল প্রকাশ। কী হতে চলেছে ফল, তা সময়ই বলবে
দুর্যোগ কেটে গেলেও এখনও একাধিক জায়গায় তার দগদগে ক্ষতচিহ্ন। প্রথমত, করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যজুড়ে ছিল কড়া বিধিনিষেধের বেড়াজাল। লকডাউন শিথিল করা হলেও এতদিন পর্যন্ত বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। এছাড়াও আমফান, বুলবুলের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল ফুলচাষিদের। আবার বেশ কিছুদিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে পুজোর মরশুমে মাথায় হাত পড়েছিল ফুল চাষিদের।
এদিকে ভোরের দিকে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা হলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো আসতে পারছেন না। তার ওপর লাগামছাড়া বেড়েই চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বেড়েছে বাস ভাড়া। বেড়েছে অন্যান্য ভাড়াগাড়ির খরচও। ফলে অন্য পথে আসতে গেলে টান পড়ছে লাভের অঙ্কে। তাই অনেক ব্যাবসায়ী মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন এই ব্যবসা থেকে।
অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টির পর উঠতে শুরু করেছিল রোদ। আর তাতেই ফুলের চারা যাচ্ছে নষ্ট হয়ে যায়। এককথায়, গোদের উপর বিষফোঁড়া।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পূর্বস্থলীর পলাশপুলি, পারুলিয়া এলাকার নার্সারি মালিকরা। শীতের মরশুমে প্রচুর পরিমাণে ফুলের চারা চাষ হয় এই এলাকায়। বহু দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে ফুলের চারা নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন তাঁদের নিজেদের এলাকায়।
এক ফুলচাষি জানান, সামনেই বিয়ের মরশুম। ফুল ব্যবসায়ীরা গোটা বছর তাকিয়ে থাকেন এই সময়টার জন্য। অনেক ব্যবসায়ী আছেন, যাঁরা বিয়েবাড়ির লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা অগ্রিম হিসেবে নিয়েছেন। আর সেই টাকা মহাজনদের দেওয়া হয়েছে ফুল কেনার জন্য।
প্রায় ৬ মাস পর রবিবার থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন। আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য। তবে সোমবার কাজের প্রথমদিনই দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। তবুও সরকারের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা আশার আলো দেখছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। এখন দেখার এটাই, লোকাল ট্রেন চালু কতটা ফলপ্রসূ হতে পারে এই ফুল ব্যবসায়ীদের কাছে।