
তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের। বুধবার সকালে বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আনোয়ারা বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কর্মী সাদেক আলির রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) ১। মালদহের (Malda) পুকুরিয়া থানার শ্রীপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতর গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্কে মৃতের পরিবার সহ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগ, দলের লোকেরাই খুন (Death) করেছে সাদেক আলিকে। দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল প্রাক্তন প্রধান সেরিনা বিবির স্বামী মহাব্বত আলি। যেমন বলা তেমন কাজ? এখন মূল অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আর তখন থেকেই শুরু হয় কোন্দল। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে হুমকি দিতে থাকে। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগ, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। তৃণমূলের জেলা স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।
সকলের একটাই প্রশ্ন, শাসকের রাজত্বে শাসকদলই সুরক্ষিত নয়? তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে দাপিয়ে বেড়ায় মূল অভিযুক্ত? তবে কী সবটাই আই ওয়াশ? ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। প্রতিক্রিয়া বিজেপির।